পিরোজপুর সংবাদদাতা : বাড়িতে একা অসুস্থ মেয়ে। মা-বাবা গেছেন একটি বিয়ের দাওয়াতে। এই সুযোগে আরো দুই সহযোগীকে ডেকে এনে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে প্রতিবেশী চাচা। এ সময় চাচার পা ধরে অনুরোধ করেও ধর্ষণ থেকে রক্ষা পাননি ওই তরুণী।অভিযুক্ত চাচাসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তরুণী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় বাদী পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে আছেন বলে জানান তাঁরা।
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলো প্রতিবেশী চাচা কবির শেখ (২৮), রাব্বী গাজী (১৮) এবং এক কিশোর।
জানা যায়, বুধবার বিকেলে ওই বাড়িতে কৌশলে দরজা খোলে অভিযুক্তরা। এ সময় ওই তরুণী বাড়িতে একা ঘুমিয়ে ছিলেন। তাঁর মুখ চেপে হত্যার ভয় দেখিয়ে প্রথমে কবির শেখ ধর্ষণ করে। পরে পালাক্রমে অন্য দুজন নির্যাতন চালায়। এ সময় তাঁকে শারীরিকভাবেও নির্যাতন করা হয়।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, ‘কবির চাচার পা ধরে অনুরোধ করেছি। সে কোনো কথাই শোনেনি। সেই আমাকে আগে ধর্ষণ করে। ‘
তরুণীর পরিবারের দাবি, অভিযুক্তরা আগে থেকেই তাদের মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। তারা বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে প্রশাসন বা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিচার চেয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি তারা। কবির হোসেনের বাবা হায়দার গাজী একজন পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় তারা এলাকায় প্রভাবশালী। তাই তাদের বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নেয় না বলেও দাবি তাদের।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্ডার খাইরুল হাসান বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ভিকটিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় অভিযুক্ত তিন ধর্ষককে। তরুণী নিজে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষণ করে কেউই ছাড় পাবে না, সে যতই ক্ষমতাশালী হোক না কেনো। ‘