কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আশিকুজ্জামানের বাসা থেকে সোনিয়া আক্তার জান্নাতি (১৬) নামে এক কিশোরী গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত জান্নাতি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি থানার বাঘজাপা গ্রামের মো. সাকিল মিয়ার মেয়ে।
কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই চুন্নু মিয়ার দাবি, তিন বছর যাবত সোনিয়া আক্তার জান্নাতি কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশিকুজ্জামানের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত। এক মাস আগে জান্নাতির কর্মস্থলে তার মা গ্রাম থেকে বেড়াতে আসেন। বেড়াতে এসে মা দেখতে পান তার মেয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে মোবাইলে কারো সঙ্গে কথা বলে। মা মেয়েকে ফোনে কথা না বলার জন্য একাধিকবার নিষেধ করেন।
মেয়ে কথা না শুনায় এক পর্যায় আজ (সোমবার) দুপুরে গালাগালিও করেন। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মুযাম্মেল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। এর পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেলের উপস্থিতিতে লাশ নামিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠাই।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে যতটুকু জানতে পেরেছি, মেয়েটি টেলিফোনে কথা বলায় মা বকাবকি করেন। মেয়ে মায়ের সঙ্গে
অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মেয়ের মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।