অনলাইন নিউজ : করোনা মহামারির কারণে দেশে এ বছরও হচ্ছে না বই উৎসব। তবে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় শিক্ষাক্রম, পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নোটিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ এসএসসির ফল প্রকাশের পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের পাঠ্যবই তুলে দেবেন। এরপর শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে ধন্যবাদ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
এ ছাড়াও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, দুই মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সংশ্লিষ্টরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
গত বছরগুলোর মতো ২০২২ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন স্তরের পাঠ্যপুস্তকও বিনামূল্যে পাবে শিক্ষার্থীরা। রীতি অনুযায়ী শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন পাঠ্যবই উৎসব করা হলেও করোনার কারণে এ বছরও দেশে বই উৎসব হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ উদ্বোধন করার পর ১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তবে একদিনে সব শিক্ষার্থীকে বই দেওয়া এ বছর সম্ভব হবে না। পর্যায়ক্রমে ক্লাসে শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, পহেলা জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীরা সব বই পাবে না। যে কয়টি বই বাকি থাকবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ করা হবে। আমাদের এখন পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী শুরুতে ৯৫ শতাংশ বই পাবে শিক্ষার্থীরা। বাকি ৫ শতাংশ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় বই উৎসব হচ্ছে না। এ পর্যন্ত প্রাথমিকের প্রায় সব বই জেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। মাধ্যমিকের ২১ কোটি বই বাঁধাই হয়ে গেছে, বাকি ১৭ কোটির বেশি বই সরবরাহ করা হয়েছে।