ভারতের বিহার রাজ্যের পুর্নিয়া জেলার গণেশপুর গ্রামে গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন সন্ধ্যায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকত না। গ্রামের মানুষ এই অদ্ভুত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছিলেন। বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে লোডশেডিংয়ের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। গ্রামবাসীদের দাবিতে শুরু হয় তদন্ত। সেই তদন্তে বেরিয়ে আসে এক অদ্ভুত কাণ্ড। গ্রামের এক ইলেকট্রিশিয়ান প্রতিদিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
সবার নজর এড়িয়ে প্রেম করতেই এমন অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন এক ইলেকট্রিশিয়ান প্রেমিক। তিনি পুরো গ্রামের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। পেশায় একজন ইলেকট্রিশিয়ান হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে পরে আবার ঠিক করে দেয়া তার কাছে কোনো বিষয়ই ছিল না।
অভিযুক্ত ইলেকট্রিশিয়ানের গত ৫ বছর ধরে এক আদিবাসী মেয়ের সঙ্গে গোপন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহ ধরে যখনই সে রাতের অন্ধকারে তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যেত, ৩ ঘণ্টার জন্য গ্রামের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাখত। এই সময়ে তারা কোথাও প্রেম করার জন্য মিলিত হত এবং তারপর বাড়ি ফিরে আসত। ঘন ঘন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় গ্রামবাসীরা খুবই বিরক্ত হয়েছিল। ফলে তার আর শেষ রক্ষা হল না।
গ্রামবাসী ইলেকট্রিশিয়ানকে একটি শিক্ষা দেওয়ার কথা ভাবল। একদিন গ্রামের বিদ্যুৎ কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রামবাসী ইলেকট্রিশিয়ানকে খুঁজতে শুরু করে দিল।
কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর গ্রামবাসী ওই ইলেকট্রিশিয়ানকে তার প্রেমিকার সঙ্গে গ্রামের বাইরের একটি সরকারি স্কুলের ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে। এর পরে, বিক্ষুব্ধ লোকেরা তাদের দুজনকে মারধর করে। পরে গ্রামবাসীরা তাদের দুজনকে বিয়ে করিয়ে দেয়। এর পর কনেকে বরের বাড়িতে পাঠানো হয়।