নিজস্ব সংবাদদাতা : মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ পৌর মেয়রের স্ত্রী কানন বেগমের (৪০) মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণে তার দেহের ৬৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, ৬ এপ্রিল মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার মেয়রের বাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন মেয়রের স্ত্রী কানন বেগম। আজ দুপুর পৌনে একটায় তিনি আইসিইউতে মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র আব্দুস সালামের বাড়িতে হঠাৎ করে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় পৌরসভার সচিব ও কাউন্সিলরদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করছিলেন মেয়র। হঠাৎ বিস্ফোরণে মেয়রসহ ১৫ জন আহত হন। তবে কী কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা এখনো সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, রান্নাঘরের গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ হতে পারে। কারণ বিস্ফোরণের সময় মেয়রের স্ত্রী রান্না করতে গিয়েছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টার দিকে হঠাৎ পৌর মেয়রের (আব্দুস সালাম) বাড়িতে মানুষের চিৎকার শুনে আমরা সেখানে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পরে শুনলাম কারা নাকি মেয়রের বাড়িতে বোমা মেরেছে। এ কারণে বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়েছে। এতে অনেকেই আগুনে পুড়ে আহত হয়েছেন। আহতদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় মেয়র আব্দুস সালাম (৫৫) ও তার স্ত্রী কানন বেগম (৪০) সহ ১৩ জন আহত হয়। আহত অন্যরা হলেন- প্যানেল মেয়র রহিম বাদশা (৪৫), মো. আওলাদ হোসেন (৪২), মো. মতাজুল ইসলাম (২৫), মো. মাইনুদ্দিন (৪৪), মোশারফ হোসেন (৪২), শ্যামল দাস (৪৫), পান্না মিয়া (৫০), কালু মিয়া (৪০), মো. ইদ্রিস আলী (৫০), মো. সোহেল (৫২) ও দ্বীন ইসলাম (৪০)।