নিউজ ডেস্ক : করোনা সংক্রমণ হ্রাস এবং ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরুতে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত ভারতের অর্থনীতির। আসন্ন বাজেটে সরকার নতুন করে প্রণোদনা প্যাকেজ দিলে আরো চাঙ্গা হতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। খবর ব্লুমবার্গ।
অর্থনৈতিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের আটটি সূচকের মধ্যে সাতটিতেই চাঙ্গা ভাব দেখিয়েছে ভারতের অর্থনীতি। শুধু একটি সূচকে মারাত্মক পতন হয়েছে।
কয়েক মাস ধরে ধীরে ধীরে করোনা সংক্রমণ হ্রাস এবং দেশব্যাপী ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরুতে ভোক্তা আস্থা ফিরে এসেছে এবং এতে চাহিদায় প্রভাব পড়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ পরবর্তী বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন। এতে নতুন প্রণোদনা প্যাকেজে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
গত ডিসেম্বরে টানা তিন মাসের মতো সম্প্রসারিত হয়েছে ভারতের শক্তিশালী সেবা খাত। গত মাসে দ্য মার্কিট ইন্ডিয়া সার্ভিসেসের পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) ছিল ৫২ দশমিক ৩ পয়েন্ট, যা নভেম্বরে ছিল ৫৩ দশমিক ৭ পয়েন্ট। নগদ অর্থ সংকট এবং শ্রমিকস্বল্পতার কারণে অবশ্য নতুন কর্মী নিয়োগ বেশ স্থবির ছিল।
ডিসেম্বরে চাঙ্গা ছিল দেশটির ম্যানুফ্যাকচারিং খাতও। নভেম্বরের পিএমআই ৫৬ দশমিক ৩ পয়েন্ট ছাড়িয়ে গত মাসে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৪ পয়েন্ট। আকরিক লোহা, ইলেকট্রনিক পণ্য, ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য রফতানি বৃদ্ধির জেরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য। নয়াদিল্লিভিত্তিক আইসিআরএর মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার বলেন, যেহেতু ভারতের প্রধান বাণিজ্য অংশীদারগুলোতে ভ্যাকসিন প্রদান পুরোদমে শুরু হয়েছে সেহেতু মাঝে মাঝে কিছু জটিলতা বাদে সামনের মাসগুলোতে ভারতের রফতানি শক্তিশালী হবে। অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় গত মাসে আমদানিও বেড়েছে।
ভোক্তা চাহিদার গুরুত্বপূর্ণ সূচক যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি গত মাসে প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে। সর্বশেষ মাসিক প্রতিবেদনে দ্য রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) বলছে, আগামী মাসগুলোতে কর্মসংস্থান চাঙ্গা হবে, এতে ভোক্তা আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং ভি-শেপড অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে এগোবে দেশটি। ডিসেম্বরে বাণিজ্যিক খাতের বছরওয়ারি ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ট্রিলিয়ন রুপি ঋণ পেয়েছে বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলো। গত অক্টোবর থেকেই ঋণের চাহিদা বেড়েছিল। গত মাসে ঋণ গ্রহণের পরিমাণ পূর্ববর্তী বছরের একই মাসের তুলনায় ৬ শতাংশ বেড়েছে বলে আরবিআইয়ের উপাত্তে উঠে এসেছে।