সত্যনারায়ন শিকদার,পশ্চিমবঙ্গ : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলির মোট ৪৪ টি আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শনিবার অনুষ্ঠিত এই ভোটে দফায় দফায় সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকালে চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে দফায় দফায় শীতলকুচিতে সংঘর্ষ হয় তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। সকালে পাঠানটুলি শালবাড়ির বুথে ভোট দিতে গিয়ে আনন্দ বর্মণ নামের এক ১৮ বছরের কিশোরের মৃত্যু হয়। তার পরিবারের লোকজন নিজেদের বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করলেও, আনন্দ কোন দলের তা নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। এরপরই ওই শীতলকুচিতেই ভারতের কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআইএসএফের গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। তারা প্রত্যেকেই তৃণমূলের কর্মী বলে দাবি করেছে দলটি।
শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সিআইএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, সিআইএসএফ জওয়ানরা বিজেপি-র হয়ে কাজ করছে। সুষ্ঠু নির্বাচন করানোর ভার যাদের কাঁধে, তাদের নির্বিচারে গুলি চালানোর অধিকার কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জোড়াফুল শিবির।
কলকাতার বেহালা পূর্ব আসনে বিজেপি কর্মীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভাঙচুর এবং মারধর ছাড়াও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁঁছে যায় হরিদেবপুর থানার পুলিশ। পাটুলিতে সিপিআইএমের নারী এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যাদবপুরের শহিদ স্মৃতি কলোনিতে বিজেপি এজেন্টকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
শনিবার সকালে নাটাবাড়ি এলাকার তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথকে হেলমেট পড়ে বাইরে দেখা যায়। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর তার একটুও ভরসা নেই। এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিজেপির কর্মীরা। ঝড় ও শিলাবৃষ্টি থেকে বাঁচতে হেলমেট পড়েছেন তিনি।