সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ভরা মৌসুমেও ইলিশের আকাল, দিশাহারা জেলেরা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশি সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের দাবি বিএসএফের মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে রাজধানীর ফলের বাজার ডিম-পেঁয়াজের চড়া দাম : রান্নায় ব্যবহার সীমিত করছেন গৃহিণীরা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র নতুন কৃষি সম্পর্ক অমৎস্যজীবীদের জলাশয় ইজারা দেওয়া যাবে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বাবুডাইংয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ ইউ-রিপোর্ট অফলাইন অ্যাপ ব্যবহারকারীর গ্রহণযোগ্যতা পরীক্ষা বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো মৎস্য সপ্তাহ

মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে রাজধানীর ফলের বাজার

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ২ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

 

রাজধানীর ফলের বাজারে দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। মৌসুমি ফলের পাশাপাশি বিদেশি ফলের দামও বেড়েছে কয়েক গুণ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলো।

শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গোলমতি আম কেজি ১৮০ টাকা, কাঠিবন আম কেজি ২২০ টাকা, চায়না আপেল কেজি ৩৫০ টাকা, সবুজ আপেল কেজি ৪০০ টাকা, লাল আঙুর কেজি ৪০০ টাকা, সবুজ আঙুর কেজি ৫২০ টাকাদরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, কমলা কেজি ৩৫০ টাকা, মাল্টা ৪০০ টাকা, নাশপাতি কেজি ৩৫০ টাকা, বেদানা কেজি ৪৫০–৫০০ টাকা, ড্রাগন ফল কেজি ২২০ টাকা, দেশি পেয়ারা কেজি ৭০ টাকা, সাগর কলা প্রতি ডজন ১৫০ টাকা, তরমুজ পিস ৩০০ টাকা, জাম্বুরা পিস ৭০ টাকা, হানি ডিউ পিস ১৫০ টাকা, আনারস পিস ৭০ টাকা, কাঁচা কমলা কেজি ১০০ টাকা।

ফল বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘাটে গেলে আমরা মাল পাই না। দামেও আগুন। বেচাকেনা একেবারেই নেই। যিনি আগে এক কেজি কিনতেন, তিনি এখন এক পোয়া নেন। আজ বেলা ১২টা বাজলো এখনো ১ টাকার ফলও বিক্রি হয়নি।

বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা আতিকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত না হলে এবং আমদানি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে না আনলে সাধারণ মানুষ ফল কিনতে পারবে না। এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। আমরা এই আমলেও এমন চিত্র দেখতে চাইনি।

ফল বিক্রেতা মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা তো ইচ্ছে করে দাম বাড়াই না। পাইকারি বাজার থেকেই আনতে হচ্ছে বেশি দামে। আগে যেখানে ৫০ হাজার টাকার মাল আনলে এক সপ্তাহ চলত, এখন তা দুই দিনেই শেষ হয়ে যায়। বিক্রিও আগের চেয়ে অর্ধেক কমে গেছে।

বাজারে কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী রাশেদা আক্তার বলেন, ফল এখন বিলাসবহুল হয়ে গেছে। আগে বাচ্চাদের জন্য সপ্তাহে একদিন আপেল কিনতাম, এখন তা মাসেও একবার সম্ভব হয় না। কলা-কমলাও কেনা মুশকিল হয়ে গেছে।

আরেক ক্রেতা রুবেল মিয়া বলেন, ডাক্তাররা ফল খেতে বলেন কিন্তু এই দামে ফল কিনতে গেলে সংসার চালানো সম্ভব না। বাজারে গিয়ে ফল দেখে শুধু হাহাকার করে ফিরে আসতে হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com