রাজশাহীর মোহনপুরে কৃষককে অপহরণ করে মাথা ও মগজ বিচ্ছিন্ন করা নারকীয় হত্যাকান্ডের প্রধান দুই আসামী রাসেল ও শরিফুলকে ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত পৌনে ২টায় ফরিদপুর থানাধীন সালথা থানাধীন সিংহ পোতাপ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: মোঃ রাসেল (২৪) ও মোঃ শরিফুল ইসলাম (৩৫), তারা রাজশাহীর মোহনপুর থানার ধুরইল এলাকার মোঃ রুস্তম আলীর ছেলে। সম্পর্কে আপন দুই ভাই।
বুধবার র্যাব-৫, রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃতরা নিহত কৃষক আলতাব আলীর প্রতিবেশী। তাদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি-জমা ও রাস্তার জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
গত (৯ মার্চ) রাত ৮টায় আসামী শরিফুল নিহত কৃষককে জমিতে যেতে বলে। এদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে জমিতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে নিহত কৃষক ও শরিফুলের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে আসামী শরিফুল এবং তার সহযোগী আসামীরা লাঠি-শোঠা দ্বারা কৃষককে মারপিট, রক্তাক্ত জখম করে ও অপহরণ করে। অপহরণের পর থেকেই মামলার সকল আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে কৃষকের পরিবারের লোকজন অনেক খোজাখুজি করে জমিতে মানুষের মাথার মগজ দেখতে পাওয়া যায়।
৬দিন নিখোঁজ থাকার পর গত (১৬ মার্চ) মোহনপুর থানার তুলসীক্ষেত্র বিলের কাছে একটি মাথা বিহিন লাশ দেখতে পায় এলাকার অপর কৃষকেরা এবং লাশটি কৃষকের বলে শণাক্ত করা হয়।
এঘটনায় মোহনপুর থানায় নিহতের ছেলে বাদী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামীদের গ্রেফতারে র্যাবের ব্যাপক তৎপরতায় সোমবার দিনগত রাত পৌনে ২টায় র্যাব-৫, রাজশাহী ও র্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি যৌথ আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে কৃষক হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী রাসেল ও শরিফুল ইসলামকে ফরিদপুর জেলার সালথা থানাধীন সিংহ পোতাপ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের মোহনপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যপারে গ্রেফতারকৃত আসামী দুই ভাইকে মঙ্গলবার সকালে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে মোহনপুর থানা পুলিশ।