শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩০ অপরাহ্ন

রাজধানীর সড়কে যাত্রী জিম্মির নানা কৌশল

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১
  • ৪১০ বার পঠিত

রাজধানীর সড়কে বিদ্যমান নৈরাজ্য নতুন করে চাঙ্গা হয়েছে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পর ভাড়া বাড়ানো হয়। এর পর থেকে দফায় দফায় জিম্মিদশা তৈরি করছেন বাস মালিক-শ্রমিকরা। যদিও বিষয়টি মালিক-শ্রমিকদের ওপর চাপিয়ে আসছে মালিক সংগঠনগুলো। প্রথমে ভাড়া বাড়ানোর দাবি আদায়ে অঘোষিত ধর্মঘট দিয়ে মালিক শ্রমিকরা সাধারণ যাত্রীদের জিম্মি করেছিলেন। ভাড়া বাড়ানোর এখন কিলোমিটার হিসেবে ভাড়া কার্যকর করতে চাইছে মালিক সমিতি ও বিআরটিএ। সিটিং সার্ভিস বন্ধ করতে কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আবার অনেকটা অঘোষিত ধর্মঘটে নেমেছেন অধিকাংশ বাসের মালিক ও চালক। এ কারণে সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
বিআরটিএ ও মালিক সমিতির নির্দেশনাও মানছেন না বাসের চালক ও শ্রমিকরা। নানা অযুহাতে যখন-তখন বাস বন্ধ করে লাখ লাখ যাত্রীকে মুহূর্তেই জিম্মি করেন তারা। কেউ প্রতিবাদ করলেও আছে লাগাতর ধর্মঘটের হুমকি। পরিবহন সেক্টরে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় বিআরটিএও। যাত্রী ভোগান্তি কমাতে বিআরটিএ মামলা, বাস ডাম্পিং ও লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি দিলেও কর্ণপাত করছে না পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। এতে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে তাদের স্বেচ্ছাচারিতা। পরিবহনবিজ্ঞরা বলছেন, মালিক শ্রমিকরা ইচ্ছা করেই পরিবহনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। নগরবাসী পরিবহন নেতাদের হাতে জিম্মি। দেশের মানুষকে তারা ‘টোপ’ হিসেবে ব্যবহার করে সরকার থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা আদায় করে আসছেন। বিগত কয়েক বছরে রাজধানীতে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। বাসে বাড়তি ভাড়া নেয়াসহ প্রতিনিয়ত নানা অপকর্মে জড়িয়ে যাচ্ছেন তারা। বাস থেকে ফেলে দিয়ে যাত্রী হত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে। পরিবহন সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সংগঠনের নেতা, প্রভাবশালী মহলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনের কারণে বাসের মালিক ও শ্রমিকদের লাগাম টানতে পারছে না সরকার। ফলে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হলেও প্রতিকার পাচ্ছেন না। এদিকে সিটিং সার্ভিস ও ওয়েবিলেনর নামে পরিবহন শ্রমিকদের ভাড়তি ভাড়া ঠেকাতে পারে না সরকার। বাসমালিক সমিতির নির্দেশ, বিআরটিএ’র মামলার হুঁশিয়ারির পরও রাজধানীতে বন্ধ হয়নি গেইটলক ও সিটিং সার্ভিস। উল্টো যাত্রীদের জিম্মি করে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও বেশি ভাড়া আদায় করে আসছেন চালক হেলপাররা। এনিয়ে প্রতিদিনই যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়াচ্ছেন তারা। ডিজেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খাতের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন বাস ভাড়া নির্ধারণ করে সরকার। এরপর সিটিং সার্ভিস, গেইটলক এবং ওয়েবিল পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দেয় বাসমালিক সমিতি। তবে ঘোষণার পরেও সিটিং সার্ভিস ও ওয়েবিল পদ্ধতি বহাল রেখেছেন বাসমালিকরা।
সরজমিন দেখা যায়, সম্প্রতি বর্ধিত ভাড়ার তালিকা বাসে টাঙানো হয়েছে। তবে তালিকায় নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করে আসছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এনিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসের চালক স্টাফদের সঙ্গে যাত্রীদের বাকবিতণ্ডা হচ্ছে। বাসের স্টাফরা সিটিং সার্ভিসের নামে ভাড়া আদায় করছেন। এছাড়া বিভিন্ন রুটে ওয়েবিল চালু রয়েছে। ওয়েবিলের ফলে যাত্রীরা সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারছেন না।
যাত্রীরা বলছেন, সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা হলেও গেইটলক-সিটিংয়ের নামে তাদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে আরও বেশি। সব পরিবহনই একই নিয়মে চলছে। বাসে বাড়তি ভাড়া নেয়া বন্ধে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিআরটিএ’র অভিযান চললেও তা রুট কিংবা গণপরিবহনের তুলনায় খুবই নগণ্য। পুরো রাজধানীতে বিআরটিএ’র ১৩ টি টিম অভিযান পরিচালনা করছে। এসব পয়েন্টে বাসমালিক শ্রমিকদের লোক থাকে। অভিযানের আগেই বাসের চালক-হেলপাররা জেনে যায়। এতে সড়কের নৈরাজ্য কমছে না।
এদিকে সমপ্রতি জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি করেছে সরকার। পরবর্তীতে ১৪ই নভেম্বর থেকে রাজধানীতে ‘সিটিং সার্ভিস ও ‘গেটলক সার্ভিস’ বাসের চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। ভাড়া বাড়ানোর কারণে প্রায় প্রতিদিনই সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হচ্ছে। ফলে সিটিং সার্ভিস ও ওয়েবিল চালুর দাবিতে গত ২দিন রাজধানীর মিরপুরে আল-মক্কা, রবরব, প্রজাপতি, বসুমতিসহ বেশ কয়েকটি পরিবহনের বাস চালানো বন্ধ করে দেন চালকরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।  পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বিআরটিএ’র সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দূরপাল্লার পরিবহন ও নগরীর গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করেছে।  প্রতিদিনই যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে তর্ক ও ঝগড়া হচ্ছে। নতুন নির্ধারিত ভাড়া যাত্রীরা দিতে চাচ্ছেন না। এদিকে পরিবহন মালিকরাও পরিবহনের জমা ভাড়ার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে চাচ্ছেন। এখন গাড়ি নিয়ে বের হয়ে দিনে ৪টি ট্রিপ দিলে তেল খরচসহ সব মিলিয়ে আমাদের বেতনও ওঠে না। এতে আমরাও বিপাকে পড়েছি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা গাড়ি বন্ধ রেখেছি।
গত বৃহস্পতিবার সড়ক পরিবহন সচিব মো. নজরুল ইসলাম সরজমিন গিয়ে বাসে ভাড়তি ভাড়াসহ নানা অনিয়ম দেখতে পান। তখন তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নির্ধারিত নতুন ভাড়ার বেশি নিলে বাসগুলোকে ডাম্পিংয়ের পাশাপাশি এগুলোর রুট পারমিট বাতিল করা হবে। ডিজেলের দাম বাড়ার পর ডিজেলচালিত বাসগুলোর জন্য নতুন ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এখন আর বাড়তি ভাড়া নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সে জন্য বিআরটিএ ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মনিটর করা হচ্ছে। যাত্রী হয়রানি ও বাড়তি ভাড়া রোধে বিআরটিএ, পুলিশ, পরিবহন মালিকরা একসঙ্গে কাজ করবেন। যদিও এ ঘটনার এক সপ্তাহেও বাসে সরকারের বর্ধিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছে চালক ও শ্রমিকরা। এই সময়ে বাসে বাড়তি ভাড়া নেয়ার জন্য ১৩টি বাসকে ডাম্পিং করেছে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ২জন চালককে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি সিটিং সার্ভিস বন্ধ থাকবে। ঢাকায় সকল রুটে লোকাল বাস চলবে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে। এছাড়া সরকার নির্ধারিত বর্ধিত ভাড়ার চেয়ে কোনো বাসে যেন বাড়তি ভাড়া আদায় করতে না পারে তার জন্য মালিক সমিতি সক্রিয় আছে। আমরা চাই সকল সিটিং সার্ভিস বন্ধ থাকবে। তবে হঠাৎ করে শ্রমিকরা বাস বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা ফেডারেশনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করছি। বাস চালু রাখার চেষ্টা করছি। শ্রমিকদের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া হবে না। আমরা চাই সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসুক।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, রাজধানীতে সকল সিটিং সর্ভিস বন্ধ করা হয়েছে। এখন আর কোনো বাস সিটিং বাসের ভাড়া নিতে পারবে না। বাসের স্টাফরা সিটিং সার্ভিস চালাতে চাচ্ছে। আমরা তাদের দাবি না মানায় তাদের একটি অংশ বাস বন্ধ রেখেছে। তারা যত যাই করুক তাদের দাবি মানা হবে না। বন্ধ বাস চলাচলের জন্য আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। সরকারি নিয়মের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মো. সরওয়ার আলম মানবজমিনকে বলেন, সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাসের ভাড়া বাড়িয়েছে সরকার। বাসে বাড়তি ভাড়া ঠেকাতে বিআরটিএ মাঠে কাজ করছে। অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বুধবার ২৫৬টি বাসে অভিযান চালিয়ে ৭টি ডিজেলচালিত বাসে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভাড়া বেশি নিলে জরিমানাও বেশি করে করা হচ্ছে। আগের চেয়ে কিছুটা পরিবর্তন আসছে। দিন দিন বাসে বাড়তি ভাড়ার প্রবণতা কমছে। আশা করি আগামী কিছুদিনের মধ্যে বাড়তি থাকা আর থাকবে না।  তিনি আরও বলেন, বাসে নানা অনিয়মের কারণে বিআরটিএ এখন পর্যন্ত ১৩টি বাস আটক করে তা ডাম্পিংয়ে পাঠিয়েছে। এছাড়া ২জন চালককে জেলে পাঠিয়েছে। হঠাৎ সিটিং সার্ভিসের দাবিতে বাস বন্ধ নিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ বিআরটিএ’তে আসেনি। মালিকরা যদি বাস চালাতে না চান, সেক্ষেত্রে বিআরটিএ’র কিছু করার নেই। তবে তারা ধর্মঘট ডাকেনি।ধর্মঘট ডাকলে একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতে হয়। এটা বাসের মালিকরা ঠিক করবেন। তারা কীভাব বাস চালাবেন।
অন্যদিকে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন পরিবহন শ্রমিকরা। বাড়তি লাভের আশায় একই পরিবহনের বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা ও ধাক্কাধাক্কি লেগেই আছে। সড়কের উপর ব্রেক কষে যাত্রী উঠানো ও নামাতে দেখা গেছে। এছাড়া ঠাসাঠাসি করে যাত্রী উঠালেও নির্ধারিত গন্তব্যে যাত্রীকে নামানো হচ্ছে না। এসব নিয়ে প্রায় যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। এদিকে গত ১২ই নভেম্বর রাজধানীর ভাটারার যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে রাইদা পরিবহনের বাস থেকে মরিয়ম নামের এক শিশুকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়। মরিয়ম ঘটনার দিন সাহায্য চাইতে বাসটিতে উঠেছিল। হেলপার এ সময় তাকে বলে, এটা গেইটলক বাস। এই বলে বাসের গেট খুলে চলন্ত বাস থেকে মরিয়মকে ফেলে দেয়া হয়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ১৫ই নভেম্বর রাজধানীর রামপুরায় ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে এক শিক্ষার্থীকে রাইদা পরিবহন থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে। পরে উত্তেজনা তৈরি হয় ঢাকার রামপুরায়। শিক্ষার্থীরা জানায়, ঘটনার দিন দুপুর ১টা ২০ মিনিটে রাইদা পরিবহনের একটি বাস বিটিভি ভবনের সামনে এলে এক শিক্ষার্থী চেকারকে অর্ধেক ভাড়া নেয়ার কথা বলে। তবে চেকার সেটি নিতে অস্বীকৃতি জানালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। এরপর সেই শিক্ষার্থী ফোন দিয়ে আশপাশে থাকা অন্য বন্ধুদের ডেকে এনে এই পরিবহনের ৫০টি বাস আটকে রাখে। এ ঘটনায় ওই অঞ্চলের যানচলাচলও বন্ধ থাকে প্রায় এক ঘণ্টা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গতকাল মহাখালীতে বাসের ‘হাফপাস’ ভাড়ার দাবিতে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন ছাত্র। শিক্ষার্থীরা জানান, তারা রাস্তায় অবস্থান করার ১০-১৫ মিনিট পর তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের প্রায় ৪০ জন কর্মী তাদের ওপর হামলা করে। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের ইন্ধনে সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com