রাজশাহীর পবায় মজুদের বেশি সার সংরক্ষণ ও উত্তোলন ভাউচারের তথ্যের সঙ্গে মজুদ ও বিক্রি ভাউচারের মিল না থাকায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ সোহরাব হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা আদায় করেন। এ সময় অভিযানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা তাসনিম।
আদালত সূত্র জানায়, মজুদের বেশি সার সংরক্ষণ ও উত্তোলন ভাউচারের তথ্যের সঙ্গে মজুদ ও বিক্রি ভাউচারের মিল না থাকায় পবা উপজেলার বায়ার বাজারের বিসিআইসি সার ডিলার নাহার এন্টারপ্রাইজকে ২০ হাজার টাকা ও জার্মান আলী ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাক মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যপারে পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহরাব হোসেন জানান, এই দুই ডিলার সরকারি গুদাম থেকে যে পরিমাণ সার উত্তোলন করেছেন তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ সার পাওয়া গেছে ডিলারের গুদামে। আবার যে পরিমাণ বিক্রি করেছেন বলে ভাউচার দিয়েছেন তার ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই তথ্যের মিল পাওয়া যায়নি। এই দুই সার ডিলার কালো বাজার থেকে সার কিনে বেশি দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছিলেন এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আবার ক্রেতার নামে বিক্রি ভাউচার কেটে রাখলেও সেই ক্রেতার কাছে কোন সারই বিক্রি করা হয়নি। অবৈধ পন্থায় সার বিক্রির অপরাধে দুই ডিলারকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা তাৎক্ষণিক আদায় করে সরকারি রাজস্ব তহবিলে জমা দেওয়া হয়েছে।