মোঃ হারুন অর রশিদ :রাজশাহীর চারঘাটে চাঞ্চল্যকর মানসুর রহমান হত্যাকাণ্ডের রহস্য মাত্র ৪ দিনে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম এ তথ্য জানান।গত ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৯ টার দিকে নিজ বাসায় গলা কেটে হত্যা করা হয় মানসুরকে।হত্যাকান্ডের দিনই চারঘাট সার্কেলের এএসপি নূরে আলম ও চারঘাট থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেন।তদন্তের এক পর্যায়ে সন্দেহভাজন হিসেবে দুই জনকে আটক করা হয়।আটককৃতরা হলো একই গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন মোফার ছেলে রোমান হোসেন সেতু(২১) মোজাম্মেল হকের আকাওয়াদ শাওন(২৭)।আটক দুই আসামী বৃহস্পতিবার আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।আসামীরা মূলত অর্থের লোভে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।তারা দুজনই বখাটে এবং বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।ঘটনার দিন মানসুর রহমান বাসাতে একাই ছিলেন।এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘটনার দিন তারা বাসায় চুরির পরিকল্পনা করে।এর অংশ হিসেবে আসামী শাওনের সহায়তায় অপর আসামী সেতু মানসুরের বাসার প্রাচীর টপকে বাসার ভিতরে প্রবেশ করে এবং শাওন বাইরে অপেক্ষা করে।মানসুর দরজা খুলে বাথরুমে গেলে আসামী সেতু ঘরে প্রবেশ করে বিছানাপত্র ও ড্রয়ার খুলে মূল্যবান সামগ্রী খুঁজতে থাকে।এ সময় মানসুর রহমান বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার দিলে সেতু মানসুরকে জাপটে ধরে।ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার হাতে থাকা এন্ট্রিকাটার দিয়ে মানসুরের গলায় আঘাত করে পালিয়ে যায়।আটক আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।