আলিফ হোসেন,তানোরঃ রাজশাহীর তানোরে পতিত ও অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে শীত কালীন সবজি চাষে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এদিকে এলাকার শিক্ষিত যুবকরাও এসব জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে সবজী চাষ করে সফলতা অর্জন করেছে। শীতকালীন সবজি হিসেবে এলাকায় পটল, বেগুন ,ফুল কফি, বাঁধা কফি, টমেটো, সিম,শসাসহ বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন ইউপির বেশ কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা যায় ,শীতকালীন বিভিন্ন ধরণের সবজির সমারোহ। প্রতিনিয়ত চাষিরা তাঁদের ঘাম ঝরানো সবজি খেতের পরিচর্যায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন।এদিকে বাজারে সবজির ভাল দাম থাকায় কৃষকরাও বেশ খুশি। জানা গেছে, বাজারে পটল বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকা, মুলা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার টাকা ও নতুন আলু প্রতিমণ প্রায় ৩ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।উপজেলার কচিয়া মোহনপুর গ্রামের সবজি চাষি রইচ উদ্দিন টিপু বলেন, তার ৬ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন সাদা জাপানি জাতের মুলা, পটল, পাতাকপি, ফুলকপি, টমেটো, বেগুন ও কাঁচা মরিচ। রইচ উদ্দিন টিপু তার অনাবাদি পড়ে থাকা পরিত্যক্ত উচু জমির উপর ৫ বছর ধরে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করে আসছেন। এতে করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে রইচ উদ্দিন টিপু সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। অন্যদিকে রইচ উদ্দিন টিপুর পাশাপাশি একই গ্রামের আব্দুল মালেক তার এক বিঘা উচু জমির উপর পটল চাষ করেছেন। এছাড়াও সেলিম এক বিঘা জমিতে বেগুন, নাইমুল এক বিঘা জমিতে বেগুন, আকবর আলী দুই বিঘা জমিতে মুলা ও পটল এবং তিন বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। এছাড়াও এরশাদ আলী দুই বিঘায় বেগুন ও ১০ কাঠা জমিতে সীম চাষ করেছেন। রইচ উদ্দিন টিপু বলেন, আমি প্রায় ৫ বছর ধরে আমার পড়ে থাকা পরিত্যক্ত ৬ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের শাক সবজি চাষ করে আসছি। এবার পটল চাষের পাশাপাশি বেগুন বিদেশি জাতের জাপানি মুলা,টমেটো পাতাকপি, ফুলকপি চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে এবং চড়া মূল্য বিক্রি হচ্ছে। লাভের সম্ভাবনা শতভাগ রয়েছে বলে জানান তিনি