রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীর তানোর পৌরসভায় সুজন-মিজানের পার্থক্য

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২০
  • ৭৭২ বার পঠিত

 আলিফ হোসেন,তানোরঃ রাজশাহীর তানোর পৌরসভায় নির্বাচনের আগাম হাওয়া বইছে। ইতমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থী তাদের অনুগত নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।তবে আওয়ামী লীগের আবুল বাসার সুজন ও বিএনপির মিজানুর রহমান মিজানকে ঘিরেই মুলত নির্বাচনী আলোচনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে।এদিকে এসব আলোচনায় সুজন-মিজানের মধ্যে পার্থক্য স্পস্ট হয়ে উঠেছে। যেখানে ইতিবাচকে সুজন নেতিবাচকে মিজান এগিয়ে রয়েছে। আদর্শিক, তরুণ, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ নিয়ে ইতিবাচক দিক দিয়ে সুজন ভোটের মাঠে এগিয়ে রয়েছেন।অন্যদিকে ভিজিএফ চাল চুরি, প্রকল্পের টাকা নয়ছয়, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি, নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ইত্যাদি কারণে পৌরবাসীর মাঝে তার চরম ইমেজ সঙ্কট দেখা দিয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক জৈষ্ঠ নেতা বলেন, মিজান এক সময়ে দুধর্ষ শিবির ক্যাডার ছিল। কিন্ত্ত মামা প্রয়াত এমরান আলী মোল্লার বদৌলতে উপজেলা বিএনপির সম্পাদক ও পৌর মেয়র হয়েছেন, আবার মামার অসুস্থতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার প্রায় সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়েছে যেটা বিএনপির আদর্শিক নেতাকর্মীরা এখানো মেনে নিতে পারেনি। এদিকে পৌরসভার নাগরিকগণের মধ্যে এবার বোধদয় হয়েছে সরকার সমর্থক জনপ্রতিনিধি ব্যতিত এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই এবার প্রতিক নয় সরকার দলীয় প্রার্থীকে তারা বিজয়ী করে উন্নয়নের খরা কাটাতে চাই। অন্যদিকে দীর্ঘ প্রায় দু’দশক পর পৌরবাসির মধ্যে এই বোধদয়ের ফলে ভোটের মাঠে ভিন্নমাত্রা ও পরিবর্তনের পুর্বাভাস লক্ষ্য করা গেছে। এসব বিবেচনায় আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর বিজয় প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করছে পৌরবাসী। জানা গেছে, শুধুমাত্র সরকার বিরোধীরা মেয়রের দায়িত্বে থাকায় পৌরসভার নাগরিকগণ দীর্ঘদিন ধরে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। রাস্তা- ঘাট, গ্রামীণ অবকাঠামো ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচি ইত্যাদি উন্নয়ন ও অর্জনের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়েও পিছিয়ে থেকে ডিজিটাল নর্দমা বলে পরিচিতি লাভ করেছে তানোর পৌরসভা। তবে কেনো এর দায় কি শুধু মেয়রের না নাগরিকগণের কিছু রয়েছে। মোদ্দা কথা বলতে গেলে এই দায় নাগরিকদের। কারণ তারা না বুঝে বা জেনে বুঝে অথবা ফালতু আবেগের বশবর্তী হয়ে কিংবা কারো মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পড়ে বার বার সরকারবিরোধীদের ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করে উন্নয়ন বঞ্চিত রয়েছেন। এদিকে পৌরবাসির এই বোধদয় সৃস্টির পর পাল্টে গেছে ভোটের হিসেব-নিকেশ। সচেতন মহলের ভাষ্য, সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা লোপাট করে ফুঁলেফেঁপে উঠে এসব মেয়র নিজেরা বিলাস জীবনযাপন করে জনগণকে বোঝায় তারা বিরোধীদলের মেয়র তাই সরকার ও স্থানীয় সাংসদরা তাদের কিছুই দেন না, ফলে তাদের আন্তরিক ইচ্ছে থাকলেও তারা জনগণের কোনো কাজ করতে পারেন না যেটা ডাহা মিথ্যা কথা পৌরসভার বিষয়ে সাংসদদের হস্তক্ষেপ করার তেমন কোনে সুযোগ নাই।আবার তাদের অভিযোগ যদি সত্য হয় তাহলে তারা তো জানেন তারা বিরোধীদলের লোক বিজয়ী হলেও কোনো কাজ করতে পারবেন না, তার পরেও তারা ভোট করেন কেন-? কেন মেয়রের চেয়ার দখলে রেখে পৌরসভাকে উন্নয়ন বঞ্চিত করেন। অথচ পৌরসভার রাজস্ব ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার সাহায্যেের টাকায় পৌরসভায় উন্নয়নের বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে মনে করেন উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com