লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন রাজন (রাজু)। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ কে এম নুরুল আমিন রাজুর কাছে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলে নেওয়া টাকা ফেরত চেয়েছেন। আশরাফ উদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী।
সোমবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ফজুমিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী পথসভার বক্তব্যে নুরুল আমিন রাজুর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলা হয়। এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও রাতে জাগো নিউজের হাতে এসেছে।
প্রার্থী রাজু তার বক্তব্যে বলেন, যেসব আওয়ামী লীগ নেতা নৌকার মনোনয়ন দেবেন বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, কিন্তু নৌকা দেননি, টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না, আমি সেই টাকা ফেরত চাই। নুরুল আমিন রাজুর কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি আমাকে বিদ্রোহী প্রার্থী করে ভোটের মাঠে নামান। পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাসও দেন। কিন্তু আমি তার টাকা চাই না। দলীয় মনোনয়ন দেবেন বলে যে টাকা নিয়েছেন, আপনি আমার সেই টাকা আগে ফেরত দিন। এখন টাকা চাওয়ায় তিনি আমাকে চাঁদাবাজি মামলার হুমকি দিচ্ছেন। মনে রাখবেন, মিথ্যা মামলা করলে চরকাদিরার-কমলনগরের মানুষ আপনাকে জুতাপেটা করবে, ঝাড়ুপেটা করবে, ঝাড়ুমিছিল বের করবে।
এসময় দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলে আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম বাবুল মোল্লার কাছ থেকেও ৩৫ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে রাজু আরও বলেন, ‘কমলনগরের আওয়ামী লীগকে আপনি ধ্বংস করে দিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে আপনাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে।’
ওই পথসভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডালিম কুমার দাসসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তারা প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান।
বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজু বলেন, ‘দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন রাজু টাকা নিয়েও আমাকে মনোনয়ন দেননি। একেকটি ইউনিয়নে তিন থেকে চারজনের টাকা নেওয়া হয়েছে। যিনি বেশি টাকা দিয়েছেন তাকেই নৌকা দেওয়া হয়েছে। রাজুকে দল থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানাচ্ছি।’
অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম নুরুল আমিন রাজু বলেন, ‘আমি আগে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছি। তখন আশরাফ রাজু বিদ্রোহী ভোট করায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। কোথাও কোনো মনোনয়ন বাণিজ্য হয়নি। টাকা লেনদেনের অভিযোগ অবাস্তব।’