বিডি ঢাকা ডট কম নিউজঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা গ্রহণে ভোগান্তি কমেছে। বরং সেবা গ্রহণের শ্রেণিবিন্যাস করার ফলে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি দূর হয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের দোরগড়ায় সেবা পৌঁছানো ও ভোগান্তি কমাতে এনআইডি কার্যক্রমের বিকেন্দ্রীকরণ করায় এর সুফল মিলেছে। উপজেলা নির্বাচন অফিস বলছে, স্বল্প জনবল দিয়ে প্রায় ৪ লাখ সাড়ে ২১ হাজার নাগরিকের সেবা প্রদান করতে হিমশিম খেতে হয় সংশ্লিষ্টদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- আগের চেয়ে এখন সহজে ও স্বল্প সময়ে নাগরিকদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ঘরে বসে অনলাইনে এনআইডি কার্যক্রম করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে নাগরিকদের সেবার মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এনআইডির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সংশ্লিষ্টরা অফিস বলছে, আগের চেয়ে এনআইডি সেবা কার্যক্রমে ভোগান্তি অনেকটা কমেছে। সরকারি যতগুলো নাগরিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আছে, তার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি কার্যক্রম অনেকটা স্বচ্ছ। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা আছে। বর্তমানে ঢাকার নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে এনআইডি সংক্রান্ত কোনো আবেদন গ্রহণ করা হয় না। অনলাইনে সব ধরনের আবেদন নেওয়া হয়। সরাসরি আবেদন গ্রহণ না করার ফলে দুর্নীতিও অনেকটা কমেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন থেকে ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ছবিসহ ভোটার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সংক্রান্ত একটি গেজেট জারি হয়। সেখানে বলা আছে, এনআইডি সংশোধন-সংক্রান্ত যাবতীয় আবেদন উপজেলা কার্যালয় গ্রহণ করবে। সেখানেই সংশোধন-সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি, যাচাই-বাছাই ও তদন্তপূর্বক আবেদনের ধরন অনুযায়ী শ্রেণিবিন্যাস (ক, খ, গ ও ঘ) ঠিক করে দেবেন ইসির উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। তাদের নির্ধারিত ক্যাটাগরির পর সংশোধনের জন্য প্রধান কার্যালয়ে পাঠালে সংশোধনের ধরন অনুযায়ী অনুমোদন দেবে কমিশন। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাসিনুর রহমান জানান, গেল বছরের ৩ মে যোগদানের পর থেকে উপজেলায় ১ হাজার ৭’শ ৬৮ জনকে নতুন ভোটার হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। ১ হাজার ১৫ জনকে স্থানান্তর, সংশোধন ৪৬২, তদন্ত ২৮, মৃত ১৫ ও ডিজিটাল এনআইডি দেয়া হয়েছে ৪ হাজার ৫’শ ৮২ জনকে। এছাড়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সেবা গ্রহণে অফিস কক্ষে সংরক্ষিত আসন রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে অফিসের সামনে টাঙানো হয়েছে একটি বিলবোর্ড। এতে লেখা রয়েছে ‘‘প্রিয় বন্ধু, আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়িত করতে এসে অনুগ্রহ করে এক কাপ চা খেয়ে যাবেন’’। পাশাপাশি সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদটি শুন্য থাকার পরও স্বল্প সময়ে নাগরিকদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে।