বিডি ঢাকা ডেস্ক
‘শেখ রাসেল দিপ্তীময় নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামী ১৮ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জে উদযাপন করা হবে শেখ রাসেল দিবস-২০২৩। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় কর্মসূচি প্রণয়ন সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-১৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ৯টায় র্যালি, সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজিত উদ্বোধনী ও শেখ রাসেল পদক প্রদান অনুষ্ঠান সরাসরি প্রদর্শন, আলোচনা সভা, বেলা ১২টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এছাড়াও অনুষ্ঠান শেষে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিশুদেরকে কালেক্টরেট শিশু পার্ক দর্শন করানো হবে। অন্যকর্মসূচির মধ্যে শেখ রাসেলের রুহের মাগফিরাত কামনায় মসজিদে মসজিদে মোনাজাত ও মিলাদ, সুবিধাজনক সময়ে মন্দির, গির্জাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন। শেখ রাসেলের মতো বিশালতা সকল শিশু মধ্যে ছাড়িয়ে পড়বে, সকল শিশু আনন্দিত হবে-এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন জেলা প্রশাসক।
সভায় গতবছরের পালিত কর্মসূচি উপস্থাপন করেন এবং সভা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম।
মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষা অফিসার, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় জানানো হয়, প্রতিবছরের মতো এবারো আগামী ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কর্ণধার তথা বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থী শিশু-কিশোরদেরকে উন্নত বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে শিশু-কিশোরদের মাঝে শেখ রাসেলের স্মৃতি অম্লান থাকবে। একই সাথে আগামী দিনে বাংলাদেশকে পরিচালনাসহ নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রে শেখ রাসেলের দীপ্ত প্রত্যয়কে হৃদয়ে ধারণ করে তারা উন্নত বাংলাদেশ গড়ার শক্তিতে বলীয়ান হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যগণ। ঘাতকরা শিশু শেখ রাসেলকেও হত্যা করেন। ২০১১ সাল হতে শেখ রাসেলের জন্ম দিবস ১৮ অক্টোবরকে জাতীয়ভাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালন এবং দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ঘোষণা করে।