বিডি ঢাকা ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক ইউপি সদস্য ও গরু ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ১১ মাস পর মূল অপহরণকারীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। সোমবার (১৮ মার্চ) দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এসময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত একটি কার ও বিভিন্ন সরকারি চাকুরির ভূয়া নিয়োগ বাণিজ্যের কাগজপত্রসহ বেশ কয়েকটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে অপহরণকারী চক্রের কাছ থেকে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে সদর মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পাবনা জেলার সুজানগর থানার ভবানীপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারেক খন্দকারের ছেলে মূল অপহরণকারী মোতালেব খন্দকার (৪২), রাজশাহী পুঠিয়া থানার কান্দা গ্রামের মৃত মোসলেম সরকারের ছেলে আলতাফ হোসেন (৫৬) ও দূর্গাপুর থানার গোপীনাথপুর পশ্চিমপাড়া খাসকামরা গ্রামের মৃত আমান আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন (২৫)।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ২২ মার্চ দুপুর ২টার দিকে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের পারচৌকা গ্রামের সেত্তাজ আলীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য ও গরু ব্যবসায়ী সাদিকুল ইসলাম গরু কেনার জন্য রাজশাহীর সিটি হাট যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সদর উপজেলার বিশ্বরোড মোড় থেকে তাকে একটি কারে অপরহণ করে রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে দুই দফায় মুক্তিপণ বাবদ তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা আদায়ের পর তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে পরের দিন সকালে তাকে রাজশাহীর বানেশ্বর এলাকায় ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। এঘটনায় সাদিকুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যদার একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
এর প্রেক্ষিতে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলার অধিকতর তদন্ত করতে গিয়ে অপহরণকান্ডের জট উদঘাটনসহ অপহরণকারীদের গ্রেফতার করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, মূল অপহরণকারী মোতালেব খন্দকার একটি বাহিনী থেকে চাকুরীচ্যুত হওয়ার পর বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। এই চক্রটি সরকারি বিভিন্ন চাকুরির ভূয়া নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অনেক মানুষকে প্রতারিত করেছে মর্মে বিভিন্ন কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..