রাজধানীর মিরপুরে থেকে ছাড়া অনেক বাসই বন্ধ করে দেন চালক ও মালিকরা। ফলে দুর্ভোগে পরতে হয় যাত্রীদের। সম্প্রতি বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তবও কেনো এই আন্দোলন? জানা গেছে, সিটিং সার্ভিস বন্ধ করার কার্যক্রম চালানোয় শ্রমিকরা বাস বন্ধ করেন।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) যা শুরু হয় দুপুর থেকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময়েও বেশ কিছু কোম্পানির বাস বন্ধ ছিল।
বাস বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমেদ সবুর বলেন, ‘আমরা এ ব্যপারে কোনো কম্প্রোমাইজ করবো না। ফেডারেশনকে (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন) জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ওয়েবিল সিসটেম বন্ধ করার কারণে চালক, সুপারভাইজারদের আয়-ইনকাম কমে গেছে এজন্য তারা বন্ধ রেখেছে। বাড়তি টাকা মালিকরা পায় না কোনো দিন। আমাদের আজ মিটিং ছিল বাস না চালালে বন্ধ থাকুক। এখানে কোনো কম্প্রোমাইজ নাই। সিটিং সার্ভিস বন্ধ থাকবে।
এদিকে পল্লবী ট্রাফিক জোনের সহকারি কমিশনার (এসি) মো. ইলিয়াস হোসেন সময়ের আলোকে বলেন, এখানে দুইটি বিষয় হয়েছে। কোথাও নিজেরা চালাবে না এরকম হয়েছে। আবার যারা সাইড করে রেখে দিয়েছে, তারা আবার অন্য গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেছে। আমরা তাদের নিবৃত করেছি। আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম এসব কেনো? তখন ওরা (বাস শ্রমিকরা) বলে আমরা ঠিকমতো বেতন পাই না। মালিকদের সাথে কথা বললাম, ‘তারা বললো শ্রমিকরা রাস্তায় যা ইনকাম করে তার যত-সামান্য আমাদের দেয়। ঠিক মতো হিসেব বুঝিয়ে দেয় না। এই পাল্টা-পাল্টি বিষয়। কিছু গাড়ি এখনো বন্ধ আছে সিরামিক্স রোডের ওখানে।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি, ডিজেল তেলের দাম বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে দূরপাল্লা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহনগরীতে চলাচলরত বড় ও মিনিবাসের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে ঢাকা মহানগরীতে বর্ধিত নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও বেশি আদায় করেন সুপারভাইজার বা কনট্রাকটররা। এতে যাত্রীদের সাথে বাগবিতণ্ডা, ঝগড়া, হাতাহাতি ও বাস থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে।
এ জাতীয় আরো খবর..