বিডি ঢাকা ডেস্ক
নগরীর ফুটপাতের চেহারা আবারও পাল্টে গেছে। প্রধান সড়কগুলোর ফুটপাত এখন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীর দখলে। হকারদের জন্য নির্দিষ্ট হকার মার্কেট ছেড়ে অধিকাংশ হকার এখন জায়গা করে নিয়েছেন রাস্তা ও ফুটপাত। রাস্তা ও ফুটপাত হকারদের দখলে চলে যাওয়ায় পথচারী তথা যানবাহন চলাচলে বৃদ্ধি পেয়েছে দুর্ভোগ। নগরীর ফুটপাত জুড়ে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের অবস্থান ছিল দীর্ঘদিনের সমস্যা। অতীতে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সময়ে সময়ে সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা হলে সাময়িকভাবে হকাররা দখল ছেড়ে গেলেও পুনরায় কিছু সময় পরে তারা আবার দখল পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা চালিয়েছেন। গেল সরকারের সময় নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা দিয়ে হকার উচ্ছেদের কাজ শুরু করেন। হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেন। লাদীঘিরপাড় হকার মার্কেট মাঠকে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় করে মার্কেট স্থাপন করে দেন। হকারদের তালিকা করে তাদের হকার মার্কেট মাঠে পুনর্বাসন করেন। হকার মার্কেট নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ না হলেও অধিকাংশ হকারকে সেখানে বসার সুযোগ করে দেওয়া হয়। বেশকিছু দিন হকার মুক্ত ফুটপাত থাকলেও ৫ আগস্টের পর পর্যায়ক্রমে হকাররা আবার রাস্তা ও ফুটপাতে আসতে শুরু করে। গত সপ্তাহে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে হকার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। নগরীর প্রাণকেন্দ্র বন্দরবাজার, জিন্দাবাজারের রাস্তা ও ফুটপাত জুড়ে ভ্রাম্যমাণ হকারদের ব্যবসা এখন জমজমাট। এ ছাড়াও জিন্দাবাজার থেকে চৌহাট্টা হয়ে আম্বরখানা পর্যন্ত রাস্তার পাশে রয়েছে হকারদের অবস্থান। সন্ধ্যার পর নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজারের চেহারা সম্পূর্ণরূপে পাল্টে যায়। হকারদের অবস্থানের কারণে পথচারীদের মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হয়।
বিভিন্ন নামে সিলেটে ৪-৫টি হকার সমিতি রয়েছে। সব মিলিয়ে সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৬শ’। কিন্তু বাকি প্রায় সাড়ে ৩ হাজার সদস্য রয়েছে তারা কোনো সমিতির অধিভুক্ত নয়। দুপুর থেকে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে তারা ব্যবসা শুরু করেন। নগর ভবনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হকাররা শুধু সিটি করপোরেশনের সামনেই বসে না। সরকারি অফিস আদালত এবং মার্কেটের সামনেও তাদের পসরা সাজানো থাকে। হকার নেতারা জানান, ৫ আগস্টের আগে পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। স্থায়ী হকারদের অন্তত ১০ জায়গায় টাকা দিতে হতো। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের পকেটেও সে টাকা ঢুকেছে। বর্তমানে নগরীদের হকারদের লাগামহীন অবস্থা।
সিরাজগঞ্জে ফুটপাতে ভিড়
স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ থেকে জানান, উত্তরের জেলায় শীত জেঁকে বসেছে। যমুনা পাড়ের শহর সিরাজগঞ্জে শীতের তীব্রতা আরও বেশি। শীতের তীব্রতায় জেলা শহরে ফুটপাতে আগেভাগেই জমে উঠেছে গরম কাপড়ের বিকিকিনি। ভিড়ও বাড়ছে। তবে দাম গত বছরের তুলনায় এ বছর দ্বিগুণ-তিনগুণ। অনেকে মৌসুমি গরম কাপড়ের ব্যবসায় নেমেছেন। দেশী-বিদেশী পুরোনো গরম কাপড় ফুটপাতে কমদামে পাওয়ার কারণে মধ্যম ও নি¤œ আয়ের মানুষ ফুটপাতের দিকেই ঝুঁকছে। সোয়েটার, ট্র্যাকসুট, মোজা, টুপি, বাচ্চাদের কাপড়, প্যান্ট-কোট, চাদর, কম্বল, ট্রাউজারসহ বিভিন্ন ধরনের শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে।
অভিজাত বিপণি বিতান থেকে কেনাকাটা করলেও সামর্থ্য না থাকায় কিনতে পারছে না মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা। তাদের একমাত্র ভরসাস্থল ফুটপাতে গড়ে ওঠা গরম কাপড়ের দোকান। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কম দামে এখান থেকে তাদের পছন্দের শীতের পোশাক কিনে নিচ্ছেন। শুধু জেলা সদরে নয়- সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর তাড়াশ- রায়গঞ্জ, কাজিপুর ও উপজেলা সদরসহ গ্রামীণ হাট-বাজারে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকান বসেছে। গরম কাপড় কিনতে আসা রিক্সাচালক জাফর সেখ বলেন, মার্কেটগুলোতে দাম বেশি থাকায় ফুটপাতের দোকান থেকে কাপড় কিনতে এসেছি। এখানে কম দামে বেশ ভালো কাপড় পাওয়া যায়। ফুটপাতের কাপড় বিক্রেতা মিজান জানান, আমরা সাধারণত সোয়েটার, ট্র্যাকসুট, মোজা, টুপি, বাচ্চাদের কাপড়, প্যান্ট-কোট, চাদর, কম্বল, ট্রাউজারসহ বিভিন্ন ধরনের শীতের কাপড় বিক্রি করে থাকি।