বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন

সৌরবিদ্যুতের অতিরিক্ত সরবরাহে বিপাকে অস্ট্রেলিয়া

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৫ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

অস্ট্রেলিয়া সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অতিক্রম করেছে। দেশটিতে এখন ৪০ লাখেরও বেশি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সৌর প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। মাত্র ২০ বছর আগে যেখানে সৌরবিদ্যুতের কোনো উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ছিল না। সেখানে এই দ্রুত বৃদ্ধি দেশটির শক্তি ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনছে। এই পরিবর্তন বিশেষত বসন্তকালে প্রকট। খবর এবিসি নিউজের।
দিনের দীর্ঘতা ও রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ে। তবে শীতল তাপমাত্রার কারণে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রপাতির ব্যবহার কমে যায়। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এখন বিভিন্ন সময়ে তার বিদ্যুতের পুরো চাহিদা সৌর শক্তি দিয়ে মেটাচ্ছে। এই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ অন্য রাজ্যগুলোতে রপ্তানি করা হচ্ছে। তবে সৌরবিদ্যুতের এই অতিরিক্ত সরবরাহ অস্ট্রেলিয়ার বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় নতুন কিছু সমস্যার জন্ম দিচ্ছে। অ্যাডিলেডভিত্তিক বিদ্যুৎ বাজার বিশেষজ্ঞ জেস হান্ট বলেন, সৌরবিদ্যুতের এই প্রাচুর্য ঠিক পানির মতো। প্রতিটি রশ্মিকে সংরক্ষণ করা যেমন অবাস্তব, তেমনি প্রয়োজনও নেই। সৌর শক্তি ছড়িয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়াকে সমস্যা হিসেবে দেখা উচিত নয়।

সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে যে প্রধান চ্যালেঞ্জটি দেখা দিয়েছে তা হলো ন্যূনতম চাহিদা। এটি মূলত গ্রিড থেকে বিদ্যুতের চাহিদার পরিমাণ বোঝায়। গ্রিডের বাইরের উৎস, যেমন বাড়ির ছাদের সৌর প্যানেল থেকে সরবরাহিত বিদ্যুতের অন্তর্ভুক্ত নয়। ছোট আকারের সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ায় এই ন্যূনতম চাহিদা উদ্বেগজনকভাবে কমে যাচ্ছে। এটি গ্রিডে স্থিতিশীলতার অভাব তৈরি করে। বিশেষ করে দিনের মধ্যভাগে যখন সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বোচ্চে পৌঁছে। অস্ট্রেলিয়ার শক্তি ব্যবস্থার এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যাটারি বড় ভূমিকা রাখছে। ব্যাটারি ডেভেলপার এএমপিওয়াইআরের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ওনহাস জানান, উন্নত ইনভার্টার প্রযুক্তি ও ব্যাটারি ব্যবহার করে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা আনা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ব্যাটারি কেবলমাত্র বাড়তি শক্তি সঞ্চয় করতেই নয়, গ্রিডকে ভারসাম্য রক্ষা করতেও সাহায্য করে। তবে প্রতিটি সৌর ইউনিট সংরক্ষণ করা আর্থিকভাবে বাস্তবসম্মত নয়। এখানে ব্যয়ের সঙ্গে দক্ষতার ভারসাম্য খুঁজে নিতে হবে। জেস হান্ট মনে করেন, ব্যাটারি ছাড়াও বিদ্যুৎ ব্যবহারের সময়সূচি পরিবর্তন করে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তিনি বলেন, সৌরবিদ্যুৎ সর্বোচ্চ উৎপাদনের সময় বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানো গেলে তা অনেক সাশ্রয়ী ও কার্যকর হবে। তিনি বলেছেন, আমাদের সৌর শক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিদ্যুতের চাহিদায় নমনীয়তা আনতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com