বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সবচেয়ে পবিত্র এক বন্ধন,স্ত্রী অদলবদল করাই যাদের প্রথা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১
  • ৫১৯ বার পঠিত
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সবচেয়ে পবিত্র এক বন্ধন,স্ত্রী অদলবদল করাই যাদের প্রথা
ফটো অনলাইন থেকে সংগৃহীত

অনলাইন নিউজ : স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সবচেয়ে পবিত্র এক বন্ধন। যদিও বিশ্বাস-ভালোবাসার উপর টিকে থাকে দাম্পত্য সম্পর্ক। তবুও পারিপার্শ্বিক নানা কারণে দাম্পত্য সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হলো পরকীয়া। নিজের স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে দেখতে কোনো পুরুষই পছন্দ করেন না।

ঠিক একইভাবে পরনারীর সঙ্গে স্বামীর সময় কাটানোও পছন্দ করেন না কোনো স্ত্রী। এসব কারণে বর্তমানে অনেক সংসারই ভেঙে যায়। তবে জানলে অবাক হবেন, বিশ্বের এমনও কিছু স্থান আছে যেখানকার পুরুষরা স্ত্রী অদলবদল করেন পরকীয়া ঠেকাতে।

স্ত্রী অদলবদল করার ঘটনা বিশ্বের এক স্থান নয় বরং বেশ কয়েকটি অঞ্চলে জনপ্রিয়। তবে এ রীতি বিশ্বের কয়েকটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। তাদের ধারণা, এই রীতির মাধ্যমে পরকীয়া রোধ হয় এমনকি বন্ধুত্ব ও সামাজিক বন্ধন আরও মজবুত হয়।

দম্পতিদের মধ্যে প্রতারণার সমস্যার সমাধান করে এই রীতি। কারণ তারা একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়াতে পারেন নির্দ্বিধায়। শুধু পুরুষরাই বরং নারীরাও তাদের পছন্দসই পুরুষ বেছে নিতে পারেন। চলুন তবে জানা যাক বিশ্বের কোন কোন এলাকার মানুষ স্ত্রী অদলবদলের রীতি পালন করে-

হিমালয়ের আর্যরা

হিমালয়ে বসবাসকারী এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিরা দ্রোকপা নামেও পরিচিত। স্ত্রী বদল করার সংস্কৃতি এই সম্প্রদায়ের পুরুষরা মানেন। এরা উত্তর ভারতে সিন্ধু নদীর তীরে বসবাস করেন। এরা জনসংখ্যায় ৩০০০ জন।

ধারণা করা হয়, এরা আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সৈন্যদের বংশধর। এই উপজাতিদের সংস্কৃতি বেশ ভিন্ন। তারা সাধারণ সমাজের কোনো নিয়মই অনুসরণ করে না। তারা একে অপরের প্রতি খুবই বন্ধুসুলভ ও স্নেহশীল। স্ত্রী অদলবদলের রীতি তাদের কাছে বেশ সাধারণ।

হিম্বা উপজাতি

এই নামিবিয়ান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সদস্যরা অদ্ভুত সব রীতি-রেওয়াজ অনুসরণ করেন। যা সাধারণ সমাজের কাছে দৃষ্টিকটূ। এই গোষ্ঠির সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। হিম্বারা তাদের লালচে ত্বকের জন্য জনপ্রিয়। আসলে তারা ত্বকে এক ধরনের লাল মাটি ব্যবহার করে।

এই গোষ্ঠির পুরুষরা তাদের স্ত্রীদেরকে অন্য পুরুষের সঙ্গে রাত কাটানোর সুযোগ করে দেয়। যাকে বলা হয় ‘ওকুজেপিসা ওমুকাজেন্দু’। এক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে অতিথির কাছে এক রাতের জন্য থাকার অনুমতি দেন।

যদিও একজন নারী অতিথির সঙ্গে ঘুমাতে অস্বীকার করতে পারেন। তবে বেশিরভাগই স্বামীর সিদ্ধান্ত মেনে পরপুরুষের সঙ্গে রাত কাটান। তাদের ধারণা, এতে সম্পর্ক ভালো থাকে ও হিংসা দূর হয়।

এস্কিমো

বরফের বসবাসকারী এস্কিমো তাদের ঘরগুলোর জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সদস্যরাও চাইলে স্ত্রী বদলের মাধ্যমে অন্য পুরুষের স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন। আবার তার স্ত্রীও একইভাবে অন্য পুরুষের সঙ্গে অবাধে যৌনমিলন করতে পারেন।

এমনকি এক পুরুষ এস্কিমোর বন্ধু বা ভাইয়েরা তার স্ত্রীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করতে পারেন। এছাড়াও যখন কোনো নারীর স্বামী শহরের বাইরে বা শিকারে দূরে যান তখন তিনি চাইলেই স্বামীর ভাইয়ের সঙ্গে যৌনমিলন করতে পারেন। এমনকি অন্য পুরুষের সন্তান গর্ভে ধারণ করাও বৈধ এস্কিমো সমাজে।

ওডাবি গোত্র

যদিও এই গোত্রের পুরুষরা তাদের স্ত্রীকে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন না। বরং নারীরাই তাদের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করেন অন্য পুরুষদের। ওডাবি গোত্রের নারীরা যত খুশি যৌন সঙ্গীর সঙ্গে মেলমেশা করতে পারেন।

এমনকি যে কারও সঙ্গে ও যে কোনো সময় যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন তারা। অবাধ মেলামেশার সংস্কৃতি পালন করে ওডাবি গোত্র। এই গোষ্ঠির পুরুষরা গ্যারাওল নামক একটি সঙ্গীত ও নৃত্যের উৎসব পালন করে। সেখানে নৃত্যরত পুরুষরা তাদের পছন্দের নারীকে নিয়ে পালাতে পারেন।

যাকে বলা হয় বউ চুরি উৎসব। ৭ দিন ধরে চলমান এই উৎসবে পুরুষদের মধ্যে চলে যৌন দক্ষতার লড়াই। যদিও এই গোত্রের মধ্যে বহুবিবাহ ও স্ত্রী চুরি বৈধ। তবে এটি কখনও যুদ্ধ ও প্রাণহানির দিকেও পরিচালিত করে।

চেওয়া গোত্র

মালাউইতে বাস করা এই গোত্র উদ্ভট সব রীতি পালন করে থাকে। যেমন- দাফনের সময় একটি লাশকে জল খাবার দেয় তারা। এমনকি তারা স্ত্রী ভাগ করার সংস্কৃতিও পালন করে। তারা বিশ্বাস করেন, খাবার যেহেতু ভাগ করে খাওয়া যায়, ঠিক তেমনই স্ত্রীকেও ভাগ করা যায়!

এই রীতি অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহেই এক বন্ধুর স্ত্রীকে অন্য বন্ধু এভাবে ভাগ করে নেয়। এরপর তারা রাত কাটায়। এই গোত্রের ধারণা, এই রীতি অনুশীলনের ফলে তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও উন্নত হয়।

এমনকি যখন একজন নারী গর্ভবতী থাকেন, তখন সে তার স্বামীকে অনুমতি দেন অন্য নারীর সঙ্গে যৌনমিলন করার। যতদিন না তিনি সন্তান জন্ম দিচ্ছেন ও শিশুর বয়স তিন মাস না হচ্ছে ততদিন তিনি স্বামীকে অন্য নারীর সঙ্গে ভাগ করেন।

একইভাবে যদি কোনো দম্পতির সন্তান না হয়, তাহলে সেই পুরুষ তার স্ত্রীকে গর্ভবতী করার জন্য অন্য একজন পুরুষকে নিয়োগ করতে পারে। যদিও তা ঘটে অর্থের বিনিময়ে। এ কারণে অনেক পুরুষরাই অর্থের বিনিময়ে এ কাজ করেন। যদিও এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তবুও এই প্রথা এখনও মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com