‘হঠাৎ উধাও সয়াবিন তেল নেপথ্যে কী?’ মানবজমিন পত্রিকার প্রধান শিরোনামের এ খবরে বলা হয়েছে, ঢাকার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। প্রায় উধাও হয়ে গেছে। আর পাওয়া গেলেও বিভিন্ন শর্তসহ বেশি দাম রাখা হচ্ছে।
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক থেকে দুই লিটারের বোতল-জাত সয়াবিন তেল বাজারে নেই বললেই চলে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এছাড়া সামনে রমজান মাসকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়ার কথা তুলে ধরা হয়েছে এ প্রতিবেদনে।
ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছেন ব্যবসায়ীরা।
ফলে ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে তেল নিয়ে সরকারের আমদানি শুল্ক ছাড় কোনও কাজেই আসছে না । এতে প্রতিদিনই ভোজ্য তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ-হীন হয়ে উঠছে।
সরকার ভোজ্য-তেল আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর ১০ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করেছে। এতে করে বাজারে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম কমার কথা থাকলেও সেই চিত্র কোথাও নেই।
মানবজমিন
‘৫ জনের ১০ হাতে প্রশাসন দলীয়’ দেশ রূপান্তর পত্রিকার শিরোনাম। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকার পরও শেষ পর্যায়ে এসে বিতর্কিত আমলাদের উপর নির্ভর করেছিলেন।
তারা যতটা না সরকারকে পথ দেখিয়েছে, তার চেয়ে বেশি নিজেদের আখের গুছিয়েছেন – বলে বলা হয়েছে ওই খবরে।
স্বার্থের জন্য তারা একচোখা নীতি অনুসরণ করেছেন। কখনো কখনো তারা শেখ হাসিনার চেয়েও বেশি আওয়ামী লীগার দাবি করতেন নিজেদের। এ ধরনের আমলাদের কারণে প্রশাসনে বিভক্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল।
এই বিভক্তি প্রশাসনের সবার জানা থাকলে শেখ হাসিনাকে গিয়ে সে কথা বলার সাহস কারও ছিল না। তাদের কারণে রাজনৈতিক বিবেচনায় পদোন্নতি হয়েছে। প্রাইম পোস্টে পোস্টিং পেতে দলীয় লোক হওয়া ছিল এক নম্বর শর্ত।
আর যত ‘ডাম্পিং পদ’ আছে, সেগুলো বরাদ্দ ছিল ‘ভিন্ন মতাবলম্বী’দের জন্য। এভাবে প্রশাসন ভারসাম্যহীন হয়েছে। অপচয় হয়েছে মেধা ও অর্থের।
সংবাদটিতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার পতন রাজনীতিবিদদের কারণে যতটা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি হয়েছে দল ‘দাসত্ব-কামী আমলা’দের জন্য।
বিবিসি বাংলার খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল অনুসরণ করুন।
দেশ রূপান্তর
‘ব্যবসা স্থবির রাজস্বে ধস’ কালের কণ্ঠ পত্রিকার শিরোনাম। সংবাদটিতে বলা হয়েছে, ব্যবসায় বিনিয়োগে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণনে রয়েছে ধীরগতি।
বিদ্যমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। ব্যবসার প্রসার কিংবা নতুন বিনিয়োগ করা না করা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে মানুষের ভোগের চাহিদা কমেছে। পুরো উৎপাদন ব্যবস্থায় পড়েছে শ্লথগতির রেশ। ফলে ব্যক্তি কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক খাতে লাভ ও মুনাফার চিত্রও সন্তোষজনক নয়। এর প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আয়ে।
আগের সরকার উচ্চাভিলাষী রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে গণ-অভ্যুত্থানে গদি ছাড়া হলেও তাদের রেখে যাওয়া টার্গেট অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আসছে না।
বরং রাজস্ব আয় বড় ধরনের ঘাটতির পথে। অর্থবছরের চার মাসেই রাজস্ব আয়ে টানাটানি চলছে। ঘাটতি ছাড়িয়েছে প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা।
এ সংবাদে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এনবিআরের মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল এক লাখ ৩২ হাজার ১১২ কোটি টাকা।
এর বিপরীতে আদায় হয়েছে এক লাখ এক হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা।
কালের কণ্ঠ
‘অনেক কোম্পানির ব্যালেন্স শিটে টাকা থাকলেও বাস্তবে নেই’ নয়াদিগন্ত পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম। খবরে বলা হয়েছে, বেক্সিমকোসহ বড় বড় কোম্পানিগুলোর ব্যালেন্স শিটে টাকা থাকলেও বাস্তবে দেশে নেই এসব টাকা। সব টাকা বাইরে চলে গেছে।
পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শনিবার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) চার দিন ব্যাপী বার্ষিক আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, এই কোম্পানিগুলোর ২০, ৪০, এক লাখ শ্রমিকের বেতন দিতে হবে। কিন্তু তাদের একদিনেই সব বেতন দেয়া সম্ভব নয়। মানুষের টাকা ব্যাংকে রয়েছে। কিন্তু ব্যাংকের টাকা বাইরে চলে গেছে।
মি. মাহমুদ বলেছেন, “কিন্তু এই টাকা তো মানুষের। এখন ব্যাংকগুলো এবং মানুষের টাকার জন্য আমাদের সম্পদের দরকার। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে আগামী বছর আমরা রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত সরকার হয়তো দেখব। তখন দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়া যাবে”।
তিনি বলেছেন, “এই সরকার স্বল্পকালীন সময়ের জন্য এসেছে, তাই সব কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা এখন সম্পদের সঙ্কটে আছি। ফলে বিভিন্ন খাতে কাঙ্ক্ষিত বরাদ্দ নিশ্চিত করতে পারছি না”।
নয়াদিগন্ত
দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার শিরোনামে বলা হয়েছে, ২৬ হাজার অভিবাসীর ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সংবাদটিতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের দুর্ভাগ্যের কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কুয়ালালামপুরে হাই কমিশনের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়ায় ২৬ হাজার বাংলাদেশি তাদের পাসপোর্ট নবায়নে বিলম্বের মুখে পড়েছেন। যা তাদের প্রবাসী জীবনকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।
সরকারের মতে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসী মালয়েশিয়ায় কাজ করে।
অভিযোগ উঠেছে, অভিবাসী শ্রমিকদের পাসপোর্ট ঘিরে এ পরিস্থিতির পেছনে রয়েছে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের একটা অংশের সাথে দালালদের যোগসাজশ।
সংবাদটিতে হাই কমিশন সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, যেহেতু ই-পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকরণে দুর্নীতি ও অনিয়ম করা কঠিন, তাই এ চক্র এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছে যা কর্তৃপক্ষকে আরও মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ইস্যু করতে বাধ্য করেছে।
বাংলাদেশের সরকার দুর্ভোগ লাঘব এবং প্রক্রিয়াটিকে সহজ করতে চলতি বছরের ১৮ই এপ্রিল মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে।
ইংরজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউন এর শিরোনাম, অর্থাৎ, ‘বাস রুটকে যৌক্তিক বা ফলপ্রসূ করতে সরকার নতুন করে চেষ্টা করছে’।
সংবাদটিতে বলা হয়েছে, রাজধানীর গণ-পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে একাধিকবার ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও সরকার বাস রুটের যৌক্তিকভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে আবার নতুন উদ্যোগ নিয়েছে।
এ সংক্রান্ত কমিটি ঢাকায় নির্দিষ্ট রুটে চলাচলকারী সব বাসকে একটি কোম্পানির আওতায় আনার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
এ সংবাদে বলা হয়েছে, এর আগে উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করেছিল রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। তবে পাঁচই অগাস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
২০০৪ সালে ঢাকার ২০ বছরের পরিবহন পরিকল্পনায় প্রথম বাস রুটের ফ্র্যাঞ্চাইজির ধারণা প্রস্তাব করা হয়েছিল।
২০১৮ সালের নভেম্বরে, ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটি (ডিটিসিএ) ২২টি কোম্পানির অধীনে ৪২টি রুটে নয়টি আলাদা রঙের সাথে বাস চালানোর প্রস্তাব করে।
বেশ কয়েকটি বৈঠকের পর, ২০২১ সালে তিনটি রুটে ৫০টি বাস নিয়ে “ঢাকা নগর পরিবহন” নামে একটি পাইলট প্রকল্প চালু হয়। পরে তা বেড়ে একশটি বাস হয়।
তবে পরিবহন মালিকদের সহযোগিতার অভাব এবং দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে প্রকল্পটি কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে পারেনি।
Dhaka Tribune
প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম ‘সরকারি তথ্য আবার ফাঁস’। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সংবেদনশীল নানা তথ্য ইন্টারনেট জগতে ফাঁস হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পুলিশের এক লাখের বেশি সদস্যের ব্যক্তিগত তথ্য।
আরও রয়েছে পুলিশের একটি তথ্যভাণ্ডারে প্রবেশের আইডি ও গোপন নম্বর।
তথ্য ফাঁস হওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সরকারের সেবা সংস্থা, কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পরিবহন সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা, কয়েকটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর আগেও একাধিক দফায় সরকারি তথ্য ফাঁস হয়েছিল।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার ওয়েবসাইট ও তথ্য ভাণ্ডারের অ্যাডমিন প্যানেলে প্রবেশের চার হাজার ৭১৭ টি আইডি ও পাসওয়ার্ড ফাঁস হয়েছে।
বিগত এক বছরের মধ্যে এসব ফাঁস হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফাঁস হওয়া তথ্য ইন্টারনেটের অপরাধ জগত ডার্ক ওয়েব ও ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামের বিভিন্ন চ্যানেলে বিক্রির বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে।
কোন কোন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ফাঁস হওয়া আইডি ও পাসওয়ার্ড ‘ব্লক’ করেছে।
প্রথম আলো
‘ঋণমানের অবনমন আমদানি সংকট নাকি কারসাজি?’ বণিক বার্তা পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম।
এ সংবাদে বলা হয়েছে, আবারো দেশে অস্থিতিশীল ভোজ্যতেলের বাজার। বাজারে পণ্যটির সংকট মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে শুল্ক-ছাড়। এর পরও সমস্যার সমাধান হয়নি।
দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ভোজ্য-তেল পণ্য আমদানিতে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করছেন আমদানি-কারকরা।
আবার কেউ কেউ বলছেন, দেশের ঋণমানে অবনমন হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের, যা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর সরবরাহ শৃঙ্খলকে বিঘ্নিত করেছে।
অন্যদিকে ব্যাংকাররা বলছেন, ঋণমান অবনমনের প্রভাব এখনো সেভাবে দৃশ্যমান নয়। বাজার কারসাজির কারণেই পণ্যটির সংকট তৈরি হয়েছে।
এ অবস্থায় আসন্ন রমজানে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে শিগগিরই ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
বণিক বার্তা
‘বৈষম্যের মূলে অন্যায্য সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা’ সমকাল পত্রিকার শিরোনাম। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, দেশে বৈষম্য সৃষ্টিতে রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা দায়ী বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা সংস্থা সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান।
গবেষকরা খানা জরিপের তথ্যের বাইরে গিয়ে এ বিষয়ে গবেষণা না করায় প্রকৃত চিত্র উঠছে না বলে মত দেন।
তিনি বলেন, ‘বৈষম্য’ শব্দটি খুবই অপ্রয়োজনীয় মনে করি। কারণ, এটি আসলে একটি লক্ষণ। বৈষম্যের প্রকৃতি বুঝতে লক্ষণের বাইরে গিয়ে উৎসের দিকে তাকাতে হবে। বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে অন্যায্য সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে, যা সময়ের সাথে সাথে বিকশিত, রূপান্তরিত এবং আরও জোরালো হচ্ছে।
শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) উদ্যোগে আয়োজিত এবিসিডি সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রেহমান সোবহান বলেন, এক সময় দেশের নির্বাচন-ব্যবস্থা এমন একটা রূপ পেয়েছিল, যেখানে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া উচ্চ লাভজনক হয়ে উঠেছিল।
ধীরে ধীরে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও ব্যবসায়ীদের তোষণের মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। রাষ্ট্রের মুষ্টিমেয় ব্যক্তি উন্নয়নের সুবিধা ভোগ করেছে বলে জানান তিনি।