নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানার ভেতরে থেকে আরো চারটি মরদেহের হাড়ের ৮০ টি খন্ড খন্ড অংশ বিশেষ উদ্ধার করেছে সিআইডি পুলিশ।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে সিআইডির সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি )হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভস ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় আগুনে পুড়ে যাওয়া হাসেম গ্রুপের সেজান জুস কারখানার ছয়তলা ভবনের নীচ তলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত দিন ব্যাপি তল্লাশী অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভবনের চতুর্থ তলার এক কোনায় চারটি মরদেহের খন্ড খন্ড ৮০টি টুকরা হাড় অংশ উদ্ধার করা হয়। সিআইডির সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, চার পাচঁ দিন আগে হাসেম গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারখানার শ্রমিক মহিউদ্দিন, সাজ্জাদ ও লাবনীর পরিবারের অভিভাবকরা মামলার তদন্তকারি সংস্থা সিআইডির কাছে তিনটি পৃথক আবেদন ও আরেকটি আবেদন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাপতালের ফরেনসিক বিভাগে আবেদন করেন। যারা এই করখানায় কর্মরত ছিলেন।
আগুনলাগার পর থেকে তারা ৪ জনই নিখোঁজ রয়েছে। তাদের এই আবেদনের প্রেক্ষিতে সিআইডি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে চিঠি দেয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় ভবনটিতে চিরুনী অভিযান চালিয়ে তল্লাশী করা হয়। ভবনের চতুর্থ তলারর রেজিং ও ফুয়েলের সাইড থেকে চারটি মরদেহের মাথার ২টি খুলিসহ হাড়ের বিভিন্ন অংশের ৮০ টি খন্ড হাড় উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া হাড়ের ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পুুড়ে যাওয়া ভবনটির নীচ তলা থেকে ৬ষ্টতলা পর্যন্ত বিপুল পরিমান ক্যামিক্যাল রয়েছে। যে কারনে তল্লাশী চালাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিআইডি পুলিশকে হিসসিম খেতে হয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৮ জুলাই বিকেল সাড়ে পাচঁটায় হাসেম ফুৃড কারখানায় আগুনলেগে । আগুনলাগার পর ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে তিজন নিহত হয় এবং পরের দিন ভবনের চতুর্থ তলা থেকে আগুনে পড়ে যাওয়া ৪৮ জনের মরদেহসহ মোট ৫১ জন শ্রমিক নিহত হয়। তাদের মধ্যে ৪৫ জনের মরদেহ ডিএনএ টেস্টের পর নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।