সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে সব পক্ষেরই সচেতনতা দরকার : আলোচনা সভায় অভিমত ক্ষতিপূরণ দাবি বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ ৫৯৫ টাকা কেজি দরে দিনে ১ কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন খলিল ঢাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পল্লী বিদ্যুতের ৭ জন বরখাস্ত ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের কর্মসূচি স্থগিত ন্যাশনাল মেডিকেল, সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজে হামলা- ভাঙচুর, পরীক্ষা স্থগিত বরাদ্দের মধ্যেই দিবস পালন করতে হবে : জেলা প্রশাসক চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় আবদুল ওয়াহেদ নেতৃত্বাধীন প্যানেলের

৪৮৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি দিয়ে বছর শুরু

বিডি ঢাকা ডট কম নিউজঃ
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ১৮৪ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ করোনার মধ্যেও বেশ ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের রপ্তানি খাত। গত বছর কয়েকবার রপ্তানি আয়ে হয়েছে রেকর্ড। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণের মধ্যেও রপ্তানি বেড়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪১ দশমিক ১৩ শতাংশ। জানুয়ারিতে রপ্তানি হয়েছে ৪৮৫ কোটি ডলারের পণ্য। গত বছরের একই সময়ে পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৩৪৩ কোটি ডলার।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে দেখা যায়, প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়েছে রপ্তানি আয়। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে জানুয়ারীতে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসে ২ হাজার ৯৫৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি একই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১৬ শতাংশ বেশি।

পাট ও পাটজাত, বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ছাড়া অন্য সব পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ২ হাজার ৩৯৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ আয় গত বছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। কয়েক মাস বিরতির পর নিট পোশাকের পাশাপাশি ওভেন পোশাকের রপ্তানিও বেড়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান জাগো নিউজকে বলেন, প্রধানত তিন কারণে রপ্তানি আয় বেড়েছে। করোনা পরবর্তী নিউনরমাল সিচুয়েশনে মানুষের কেনাকাটার প্রবণতা বেড়েছে। সোর্চিং কান্ট্রি হিসেবে বায়ারদের কাছে আমাদের স্ট্যাবিলিটি বেড়েছে। চীন, ভিয়েতনামের তুলনায় আমাদের ওপর তাদের আস্থা বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, কাঁচামালের দাম বেড়েছে। সেটা দামের ওপর ইফেক্ট ফেলছে। কোয়ানটিটিও বেড়েছে, কিন্তু কোয়ানটিটির তুলনায় ভ্যালুটা অনেক বেশি বেড়েছে। অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ১ হাজার ৩২৭ কোটি ডলারের নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অন্যদিকে ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৭১ কোটি ডলারের। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। একই সময়ে মাসে ৮৩ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ৭৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ। অন্যদিকে একই সময়ে ৮৩ কোটি ডলারের পাটজাত পণ্য, ১৪ কোটি ডলারের ক্যাপ রপ্তানি করেছেন উদ্যোক্তারা। হিমায়িত মাছ রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৩৭ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। ওষুধ রপ্তানি থেকে এসেছে ১১ কোটি ৭১ লাখ ডলার।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com