বিডি ঢাকা ডেস্ক
জানুয়ারির ২০ দিনে সারা দেশে ৭২৭টি অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সবচেয়ে বেশি ৩১৮ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে খুলনা বিভাগে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, অবৈধ সব প্রতিষ্ঠান বন্ধে অভিযান চলবে। তবে আরও শক্ত ব্যবস্থা নিতে বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োজন।
সম্প্রতি সারা দেশে অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা চেয়ে সিভিল সার্জনদের চিঠি দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী, ১ হাজার ৩০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নেই। এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধে চলছে অভিযান।
সবচেয়ে বেশি অবৈধ প্রতিষ্ঠান ছিল কুমিল্লায়। এ জেলায় বন্ধ করা হয়েছে ১০০টিরও বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, খুলনা বিভাগে ৩১৮, ঢাকায় ১২০, চট্টগ্রামে ১১৪, রাজশাহীতে ৮৩টিসহ সারা দেশে ৭শ ২৭টি অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক(হাসপাতাল) ডা. মঈনুল আহসান বলেন, ‘কিছু লাইসেন্সবিহীন ছিল, কিছু আছে অনেকদিন ধরে তারা লাইসেন্স নবায়ণ করেন নি। প্রায় ৫ থেকে ৬ বছর। নবায়ণের কোনো দরখাস্তও তারা আমাদের কাছে করেননি। আরও কিছু আছে পরিদর্শনের সময় গ্রস মিসটেক পাওয়া গিয়েছে। সেটা আমাদের মোবাইল কোর্টের ৮২ বিধি অনুযায়ী বন্ধ করা হয়েছে। এদের মধ্যে একেবারে লাইসেন্সবিহীন বা কখনই যারা আমাদের কাছে আবেদন করেন নি, সেগুলো তো বন্ধই থাকবে। আর ৮২ বিধিতে আপিল করার সুযোগ আছে। যদি এরা সেই আপিল আইনের মধ্যে পড়ে তাহলে আপিল করতে পারবে আমাদের কাছে।’
অবৈধ বেশিরভাগ হাসপাতালই জেলা শহরে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, জনবল সংকট ও বিচারিক ক্ষমতা না থাকায় এ সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিতে বেগ পেতে হচ্ছে।
ডা. মঈনুল আহসান বলেন, ‘একটি অনিবন্ধিত ক্লিনিকে কোনো চিকিৎসকের বসা উচিৎ না, এটা আমি আপনার সাথে একমত। কিন্তু আমাদের এখানে দীর্ঘদিন ধরেই এই প্র্যাকটিসটা চলে আসছে যে অনেকেই খোঁজ না নিয়েই বসে পড়ে। একজন ডাক্তারের সার্বিক নিরাপত্তা–সম্মান কোনটিই কিন্তু অনিবন্ধিত ক্লিনিকে নিশ্চিত করা সম্ভব না।’
শুধু আবেদন করেই বছরের পর বছর চলছে অনেক হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অনুমোদন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান চলতে দেয়া হবে না- বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।