সরেজমিন রোববার ঘাটে গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। ফেরিতে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস পার হতে দেয়া না হলেও প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্সসহ পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পার হচ্ছে।
জানা গেছে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে আটটি ফেরি চলছে। ফেরিগুলোতে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ বেশি। কারও মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে তেমন সচেতনতা দেখা যায়নি। যাত্রীরা কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুণে বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে বিভিন্ন হালকা যানবাহনে ঘাটে আসছেন।
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী মফিজুল ইসলাম বলেন, ঈদে বাড়ি এসেছিলাম। অফিস খোলা তাই ঢাকা যাচ্ছি। বরিশাল থেকে মোটরসাইকেলে ১ হাজার ১০০ টাকা ভাড়া দিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে এসেছি। ফেরিতে ২৫ টাকার টিকিট কেটে উঠেছি। কোনো সমস্যা হয়নি। তবে সামনে আরো কত টাকা ভাড়া গুনতে হবে জানি না।
আরেক যাত্রী মো. ওহাব মিয়া বলেন, জরুরি দরকারে ঢাকা যাচ্ছি। পথে পুলিশ জিজ্ঞেস করেছিল। আমি জরুরি দরকারের কথা জানাতে ছেড়ে দিয়েছে। ফেরিতে উঠতে সমস্যা হয়নি।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, নৌরুটে সকাল থেকে আটটি ফেরি চলছে। পণ্যবাহী ট্রাকের পাশাপাশি জরুরি যানবাহন পার করা হচ্ছে। যাত্রীবাহী কোনো যানবাহন পার হতে দেয়া হচ্ছে না।