বগুড়া সংবাদদাতা : বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের কাছে বিচার চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধু।
এ ঘটনায় শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে ধর্ষিতা ওই গৃহবধু বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব খামারকান্দি ইউনিয়ন বিএনপি`র সাধারণ সম্পাদক এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। সে একই ইউনিয়নের খামারকান্দি গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, বছর খানেক আগে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের এক আত্মীয়কে ৫০ হাজার টাকা ধার দেন ওই গৃহবধূ। দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও পাওনা টাকা উদ্ধারে ব্যর্থ হন তিনি। তাই সঠিক বিচারের আশায় এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ওহাবের কাছে বিচার প্রার্থনা করেন ওই নারী।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে টাকা উদ্ধারের বিষয়ের অগ্রগতি জানতে চেয়ারম্যানকে মোবাইলে কল করেন ওই নারী। তখন চেয়ারম্যান ওহাব ওই গৃহবধূকে আশ্বস্ত করেন শুক্রবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শেরপুর পৌর এলাকার জগন্নাথ পাড়ায় চেয়ারম্যানের ভাড়া বাসায় বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করে দিবেন।
তাই চেয়ারম্যানের কথা মতো স্বরল বিশ্বাসে শুক্রবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে ওই নারী শেরপুর শহরে চেয়ারম্যানের ভাড়া বাসায় উপস্থিত হলে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে চেয়ারম্যান ওহাব ওই নারীকে জোরপুর্বক ধর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে এক নারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। ওই নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়ছে এবং আসামী গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।