অনলাইন নিউজ : যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, এমন খবর নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই গতকাল শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেক কমেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার এর দাম ৭০ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ কমে ব্যারেল প্রতি ৮২ দশমিক ১৭ ডলারে স্থির হয়েছে। এবং অপরিশোধিত ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) এর দাম ৮০ সেন্ট বা ১ শতাংশ কমে ব্যারেল প্রতি ৮০ দশমিক ৭৯ ডলারে স্থির হয়েছে।
সাপ্তাহিক হিসাবে, ব্রেন্টের দাম শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং ডব্লিউটিআই এর দাম শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
রিস্ট্যাড এনার্জির সিনিয়র তেল বাজার বিশ্লেষক লুইস ডিকসন বলেছেন, এ সপ্তাহের তেলের বাজার আমাদের জন্য স্মরণীয় কারণ তেলের দাম যে কেবল সরবরাহ-চাহিদা গতিপথ দিয়ে প্রভাবিত হয় না, বরং আর্থিক নীতির পূর্বাভাস এবং সরকারি হস্তক্ষেপের মাধ্যমেও প্রভাবিত হয় তাও দেখা গেছে। উচ্চ সুদের হার ডলারের দাম আরও বাড়াবে এবং তেলের দাম আরও নিম্নমুখী হওয়ার চাপ প্রয়োগ করবে।
সোমবার (৮ নভেম্বর) ইউএস এনার্জি সেক্রেটারি জেনিফার গ্রানহোম বলেছিলেন, বাইডেন এ সপ্তাহে খু্ব শিগগিরই পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলতে পারেন। এদিকে প্রাইস ফিউচার গ্রুপের সিনিয়র বিশ্লেষক ফিল ফ্লিন বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি যে ঘোষণা যাই হোক না কেন তা দামের উপর একটি স্বল্পমেয়াদী প্রভাব ফেলবে, তবে অনিশ্চয়তার কারণে বাজার মূল্য কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
সৌদি আরামকোর পরেই তেল উৎপাদনের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল কোম্পানি রাশিয়ার রোসনেফ্ট। রোসনেফ্ট শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিশ্বব্যাপী জ্বালানি বাজারে একটি সম্ভাব্য ’সুপার সাইকেল’ সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছে, চাহিদা সরবরাহের বাইরে থাকায় আরও বেশি দামের শঙ্কা বাড়ছে।