আলিফ হোসেন,তানোরঃ রাজশাহীর তানোরে মাটিদস্যু সিন্ডিকেটের বে-পরোয়া ও চরম দৌরাত্ন্যে তানোর-চৌবাড়িয়া রাস্তা মারাত্নকভাবে ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে উঠেছে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা জানান, প্রশাসনের ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে ফসলী জমির উপরিভাগের উর্বরা মাটি(টপসয়েল) ইট ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে অপরিকল্পিত ভাবে টয়সয়েল বিক্রি করায় কৃষি জমির উর্বরা শক্তি হ্রাস ও উৎপাদনে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। একশ্রেণীর মাটিদস্যু সাধারণ কৃষকদের নগদ অর্থের লোভ দেখিয়ে এসব অপকর্ম করছে। এসব মাটি পরিবহণের সময় পাকা রাস্তায় পড়ে ঘন কুঁয়াশায় রাস্তা কাঁদায় ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। এখনই এসব মাটিদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এদের দেখাদেখি অন্যরাও এই কাজে জড়িয়ে পড়ছে। জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউপির পাড়িশো-দুর্গাপুর, নাড়িপাড়া, মাদারীপুর, ও ধানুরা গ্রামে প্রকাশ্যে দিবালোকে চলছে মাটিদস্যুদের দুষণ সন্ত্রাস। অথচ রহস্যজনক কারণে প্রশাসন নিরব এমনকি তাদের বিরুদ্ধে হযোগীতার অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে গ্রামবাসী রাস্তা নস্টের প্রতিবাদ ও মাটি কাটা বন্ধ করতে গেলে ভেঁকু মেশিনের লোকজন লাঠিশোঠা নিয়ে তাদের ধাওয়া করলে এলাকায় উত্তেজনার৷ সৃস্টি হয়। প্রকাশ্যে দিবালোকে কৃষি জমি নস্ট করে মাটি কাটা ও রাস্তা নস্ট করে বিভিন্ন এলাকায় পরিবহণ করা হলেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। অথচ কদিন আগেই খালের খননকৃত মাটি পরিবহণের অপরাধে দুই জনকে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা দেয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো খালের খননকৃত মাটি পরিবহণ যদি অপরাধ হয় তাহলে ফসলী জমির মাটি বিক্রি কি অপরাধ নয়-? এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও মুঠোফোনে কল গ্রহণ না করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতোর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম বলেন,সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত জমির শ্রেণী পরিবর্তন বা উপরিভাগের (টপসয়েল) মাটি কাটার কোনো সুযোগ নাই এটা দন্ডনীয় অপরাধ। এব্যাপারে কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান মসলেম আলী প্রামানিক বলেন, এসব ভেঁকু মেশিন এলাকায় আসতে দেয়া ঠিক নয়। তিনি বলেন, এসব মেশিন এলাকায় থাকলেই গোপণে পুকুর কাটে।