নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভোলাহাটে স্থানীয় এনজিও মাইডসের নির্বাহী পরিচালক বেলাল উদ্দিনকে সংস্থার কিছু কর্মী অর্থ আত্মসাত করে পরিকল্পিত ভাবে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের মাধ্যমে দায়ি ব্যক্তিদের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করা হয়।
১২ ফেবর্রুয়ারী শনিবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে আধাঘন্টা ব্যাপী ভোলাহাট প্রেসক্লাব গেট সম্মুখে স্ত্রী চার মেয়ে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসির আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানবন্ধনে বেলাল উদ্দিনের স্ত্রীসহ চার মেয়ে কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
এ সময় তাঁর স্ত্রী সেকিনা বেগম বলেন, এনজিওর নির্বাহী পরিচালক বেলাল উদ্দিনের সাথে প্রতারণা করে এনজিও কর্মী মোঃ এসরাইল, হেলাল, হাসান, কারিম, মাইনুল, আব্দুর রহমান ডাকু, মিজানসহ অন্যান্যরা এনজিও’র কোটি কোটি টাকা লুট করে নেয়। টাকা আত্মসাত করে নিজেদের নামে জমি ক্রয়, আলিশান বাড়ী নিমার্ণ ও অন্য নামে এনজিও তৈরী করেছে। তাঁরা নিজেদের দায় নির্বাহী পরিচালকের উপর চাপিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল। দীর্ঘদিনের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বেলার উদ্দিনের বড় মেয়ে মাহফুজা বলেন, আমার পিতার মৃত্যু হওয়ায় আমরা মা ও আমরা ছোট ছোট চার বোন এতিম হয়ে গেলাম। আমাদের দেখাশুনার কেউ থাকলো না। আমার পিতার হত্যা কারীদের ফাঁসি চাই।
বৃহস্পতিবার ১০ ফেবর্রুয়ারি বিকেলে তদন্ত কমিটি তদন্তের জন্য উপজেলার আদাতলার মাইডসের প্রধান কার্যলয়ে বসেন। তদন্ত চলাকালে দায়ী কর্মীরা নির্বাহী পরিচালক বেলাল উদ্দিনের উপর মারমুখী হয়। এ সময় তদন্ত কমিটি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। তাদের হুমকিতে আত্মমর্যাদার ক্ষুন্ন হওয়ায় ১১ ফেবর্রুয়ারি ভোরে উপজেলার পঞ্চনন্দপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে কীটনাশক পান করেন। তাঁকে ভোলাহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে দায়ত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মানববন্ধনে তদন্ত কমিটির সদস্য মোঃ খলিলুর রহমান ও বেলাল উদ্দিনের বড় ভাই মোঃ আসগর আলী ঘটনার সত্যা স্বীকার করে বক্তব্য দেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, এনজিও মাইডসের মান্নুমোড় শাখার কর্মীগণ, ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক সদস্য মোঃ সাদিকুল ইসলামসহ তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসি। এ সময় উপস্থিত সকলে বেলাল উদ্দিনকে যাঁরা পরিকল্পিত ভাবে কীটনাশক পানে বাধ্য করে মৃত্যু ঘটিয়েছে তাঁদের গ্রেফতার করে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবী করেন।