বিডি ঢাকা ডট কম নিউজঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের পৌরসভার অন্তগত সরকারি সাপ্তাহিক রবিবারের হাটটি বৃটিশ আমলের। এই হাট থেকে প্রতিবছর সরকার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। অথচ এই সরকারি হাটের জমি কিভাবে ব্যক্তির নামে রেকর্ড হলো তা নিয়ে এখন হাটপাড়ায় চলছে গুঞ্জন।তবে সরকারি এই হাটের জমি ব্যক্তির নামে হওয়া রেকর্ড বাতিলের জোর দাবি জানিয়েছে সচেতনমহল।
অভিযোগে জানাগেছে,নাচোল পৌরসভার অধিনস্থ ১১৩৫নং দাগে সাপ্তাহিক রবিবারের হাটটি সরকারি ভাবে জনস্বার্থে ব্যবহৃত হয়ে আসছে সেই ১৭০০ ইং (বৃটিশ আমল) হতে।সরকারি স্বার্থে হাটের কিছু জায়গায় উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল হতে নিউমার্কেট তৈরি করে লিজ গ্রহনের মাধ্যমে বহু বেকার পরিবার বর্গ নিয়ে ব্যবসা বানিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করছে। ১১৩৫নং দাগের রবিবার হাটটির জমি সিএস এবং এস এ খতিয়ানে সরকারের নামে হাট উল্লেখ থাকলেও দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ইং সালে ভূমি জরিপের সময় জরিপ কাজে নিয়োজিত কিছু অসৎ কর্মকর্তা/কর্মচারী ভূমি দস্যুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সাপ্তাহিক রবিবার হাটের ১১৩৫নং দাগের ২.৯৮০০একর জমির মধ্যে আরএস রেকর্ডে ৯১নং খতিয়ানে ১৪৩৯নং দাগ সৃষ্টি করে কিছু জালিয়াতি ব্যক্তির নামে হাটের জায়গা খন্ড খন্ড করে ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করা হয়েছে। আর এস রেকর্ডের দাগে জনৈক ইজাহারুল হক কাচুর পিতা আব্দুর রহমান বাড়ি করে বসবাস করছিল। বর্তমানে সেটি ভেঙ্গে ইজাহারুল হক কাচু হাটের জমি সংলগ্ন ব্যক্তি মালিকানায় মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করে।স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্বিতে উপজেলা প্রশাসন ব্যক্তিমালিকানাধীন মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
এবিষয়ে নাচোল পৌর এলাকার মাদ্রাসা পাড়ার নাহিদ হাসান,কামরুল হাসান বলেন, সিএস, এসএ, খতিয়ানে হাটের জায়গা উল্লেখ থাকার পর ও কিভাবে ১১৩৫নং হাটের দাগটি আরএস রেকর্ডে ১৪৩৯ নং দাগে রূপান্তরিত হওয়ার কারন সরেজমিনে তদন্ত করে সরকারি স্বার্থে বিষয়টি উৎঘাটন করে সরকারি হাটের জায়গা ব্যক্তি মালিকানাধীন কবল থেকে উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি করছি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট।
এবিষয়ে নাচোল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,একটি অভিযোগের ভিত্তিত্বে রবিবারের হাটের জমির রেকর্ডের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ যে নির্দেশ দিবে সেই মোতাবেক পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে বলে জানান।