অনলাইন নিউজ : দেশে গত বেশ কিছুদিন ধরে করোনায় মৃত্যুর পাশাপাশি শনাক্তের সংখ্যা ও হারও কমে এসেছে। সার্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশ করোনা নিয়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতির কাছাকাছি বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চ্যুয়াল বুলেটিনে এমনটাই জানান অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম।
দেশে নতুন করোনা রোগী এবং পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দিন দিন কমছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭৯৯ জন। আগের দিন ৮৯৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারণ করা মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে রোগী শনাক্তের হার টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকায় কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ৫ হাজার ১২১টি। সেখানে খালি আছে ৪ হাজার ৫৯৭টি। অর্থাৎ প্রায় সব শয্যাই খালি আছে। এ পরিস্থিতি যদি আমরা ধরে রাখতে চাই তবে অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এর বিকল্প নেই।’
করোনা সংক্রমণ কমার সঙ্গে সঙ্গে কমছে পরীক্ষার সংখ্যা কমছে বলেও জানান অধ্যাপক নাজমুল। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ১২ কোটি ৪৭ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন ৮ কোটি ৪৮ লাখ মানুষ। আর তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৩৮ লাখের বেশি মানুষ। ১৮ লাখ ভাসমান মানুষ এ পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন।
বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাতৃ, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচির পরিচালক মো. শামসুল হক করোনার টিকাবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ ১২ দিনে দেশে ২ কোটি ৩২ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ মিলিয়ে এ সময়ে ৩ কোটি ৪৯ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
শামসুল হক বলেন, এখনো যেসব ব্যক্তি টিকা পাননি, তারা স্থায়ী টিকাকেন্দ্রে গেলে প্রথম ডোজের টিকা পাবেন। এ ছাড়া দ্বিতীয় বা তৃতীয় ডোজের টিকা দেওয়ার কাজ অব্যাহত থাকবে।