অনলাইন নিউজ : ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর প্রায় ১২ লাখ মানুষ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর বিবিসি।
সংস্থাটির শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার সর্বশেষ পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়ে আসা মানুষের অর্ধেকই প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে। দেশটিতে সাড়ে ৬ লাখ ইউক্রেনের নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন।দেড় লাখ মানুষ হাঙ্গেরিতে আশ্রয় নিয়েছেন, বাকিরা ইউরোপের অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এ ছাড়া প্রতিবেশী মালদোভা, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়ায় বিপুল শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।‘ইউক্রেনের ভেতর ও বাইরে এখনো অনেক মানুষ আশ্রয়ের খোঁজ করছেন। তাদের সুরক্ষা ও সহায়তা দরকার। ইউক্রেনের পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছাড়তে বাধ্য হতে পারে’, বলছেন ইউএনএইচসিআর।
রাশিয়ার হামলার আগে ইউক্রেনে মোট জনসংখ্যা ছিল চার কোটি ৪০ লাখ।
এ দিকে রাশিয়ার দখলে যাওয়া প্রথম ইউক্রেনের শহর হচ্ছে খারসেন। কিয়েভ, খারকিভ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে। কিয়েভের দিকে এগিয়ে আসা বিশাল একটি রাশিয়ান সেনা বহর পথে থেমে রয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী মারিওপোলে অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাশিয়ার সৈন্যরা এবং আরেকটি বন্দর নগরী ওডেসার দিকে এগোচ্ছে। এই দুটি শহর দখল করতে পারলে ইউক্রেন সমুদ্র যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
এ দিকে ইউক্রেনের আকাশে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করতে ন্যাটো রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদামির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এখানে যত মানুষ মারা যাবে, তাদের জন্য আপনারাই দায়ী হবেন।’