বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক
রাজশাহী-১ আসনের (গোদাগাড়ী- তানোর) সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে কটূক্তি করায় কর্মীদের তোপের মুখে কার্যালয় ছেড়ে পালিয়েছেন গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা।
রোববার বিকেলে এ ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে ফেল দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সোহেলের লোকজন মাঠিকাটা বাইপাস এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায়। পরে সোহেলের শাস্তির দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এ নিয়ে জানতে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা ফোন ধরেননি।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাটিকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ইউপি চেয়ারম্যান সোহেলের অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরেন এমপির কাছে। ছয়টি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করে সোহেলের বিরুদ্ধে।
এ সময় এমপি বলেন, আপনারাই তো একজন মাদক সম্রাটকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান বানিয়েছেন। আপনারা নিজেদের সমস্যা নিজেরাই তৈরি করেছেন। এর ফল ভোগ করতে হবে আপনাদেরকেই।
এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চেয়ারম্যান সোহেলের সমর্থকরা এমপির বিরুদ্ধে লেখালেখি করে। এছাড়াও চেয়ারম্যান সোহেল নিজেও এমপিকে নিয়ে কটুক্তি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দলের নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মাটিকাটা ইউনিয়নের পিরিজপুর এলাকায় সোহেলকে ধাওয়া দেয়।
গোদাগাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরব আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপিকে নিয়ে কটুক্তি করে সোহেল রানা। এর প্রতিবাদ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ পর্যায়ে তোপের মুখে তিনি পালিয়ে যায়। এর জের ধরে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করতে প্রস্তুতি নেয়া সোহেল ও তার লোকজন। খবর পেয়ে দলের লোকজন তাদের ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায়।