নিজস্ব সংবাদদাতা : দুর্নীতির অভিযোগে আইনের মধ্য থেকে যেকোনো ব্যক্তিকে নোটিশ দিতে পারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদকের দেওয়া নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার রিট খারিজ করে দেওয়া পূর্ণাঙ্গ আদেশে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান পূর্ণাঙ্গ আদশের বিষয়টি সাাংবাদিকদের জানান।আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগে আইনের মধ্য থেকে যেকোনো ব্যক্তিকে ডাকতে পারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আদেশে আদালত উল্লেখ করেছেন, নোটিশ হচ্ছে একটি রিকোয়েস্ট।’এতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের মৌলিক অধিকার খর্ব হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ নোটিশ কমপ্লাই করা উচিত। আর এ নোটিশ কমপ্লাই করার জন্য তাকে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন।’রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, দুর্নীতি বিষয়ে যে কোনো অভিযোগ পেলে অভিযোগের সূত্র ধরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নোটিশ দেওয়ার আইনি এখতিয়ার দুদকের রয়েছে।দুদক আইনের ২২ ধারায় বলা হয়েছে, দুর্নীতি বিষয়ক কোনো অভিযোগের অনুসন্ধান বা তদন্ত চলাকালে কমিশন যদি মনে করে যে, অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির বক্তব্য শোনা প্রয়োজন, তাহলে কমিশন উক্ত ব্যক্তিকে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দেবে।
গত ৩ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন।আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শফিক আহমেদ, জেড আই খান পান্না, সালাহ উদ্দিন দোলন, সুরাইয়া বেগম, মাহবুব শফিক।
গত ২৮ অক্টোবর দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ নভেম্বর দুদকে হাজির হতে বলা হয়।
এ অবস্থায় উল্লিখিত অভিযোগ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার লক্ষ্যে আগামী ৪ নভেম্বর সকাল ১০টায় রেকর্ডপত্র/কাগজপত্রসহ দুদকে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এর বিরুদ্ধে রিট করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। আবেদনে নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-২) এবং উপ-পরিচালককে (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-২) বিবাদী করা হয়।
পরে তার অসুস্থতার কারণে ৩ নভেম্বর শুনানি নিয়ে আদালত তার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে। এবং ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটটি মুলতবি রেখেছিলেন। পরে নির্ধারিত দিনে ৩ ডিসেম্বর আবেদনটি ফের কার্যতালিকায় ওঠে। শুনানি শেষে রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন আদালত।