বিডি ঢাকা ডেস্ক
চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথম বারের মতো রপ্তানিমুখী পণ্যবাহী কনটেইনারের জন্য দুটি স্ক্যানার স্থাপন করা হলো। এই স্ক্যানারের সাহায্যে পণ্যসহ তার তেজস্ক্রিয়তাও পরীক্ষা করা যাবে। পূর্ব থেকে রপ্তানিমুখী পণ্যসমূহ বিদেশের বন্দরে বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকার বন্দরে স্ক্যানিং করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে পণ্যের ব্যাপারে অভিযোগও আসত।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ৪ নম্বর গেট এলাকায় নতুন স্ক্যানারের উদ্বোধন এবং চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিকট হস্তান্তর করেন। চায়না থেকে ৮৯ কোটি টাকায় কেনা স্ক্যানার দুটি চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয় করে চট্টগ্রাম কাস্টমসকে প্রদান করে।
চট্টগ্রাম বন্দরের প্রথম বারের মতো রপ্তানিমুখী পণ্যের পরীক্ষায় দুটি স্ক্যানার সংযোজন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি ছিলেন। বন্দর অভ্যন্তরে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মো. সোহায়েল। বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন সচিব মো. মোস্তফা কামাল। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুটি স্ক্যানার স্থাপনের মাধ্যমে বিশ্বের নিকট চট্টগ্রাম বন্দরের মর্যাদা বেড়েছে। রপ্তানি পণ্য নিয়ে বিভিন্ন সময় যে অভিযোগ ছিল তার অবসান হবে এবং চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির বিষয়ও অবসান হলো। চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়াও অন্যান্য বন্দরেও স্ক্যানার স্থাপন করা হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্যান্য বন্দরে ডেনমার্ক, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে বিনিয়োগের জন্য যোগাযোগ করছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগের স্বার্থে এবং নিরাপত্তাসহ সার্বিক দিক বিবেচনা করে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটিসহ অন্যান্য টার্মিনালও দেওয়া যেতে পারে। বিশ্বের মেরিটাইম সেক্টরে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডকে টপকে সি-ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পায়রা বন্দর হয়েছে। মাতারবাড়ী বে-টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। মেরিটাইম সেক্টরে দেশ অভূতপূর্ব উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে।