বিডি ঢাকা ডেস্ক
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার পর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৫০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৮ জন আওয়ামী লীগের, আর বাকি দুইজন জাতীয় পার্টির। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটার পর তাদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামান তালুকদার। তিনি বলেন, মঙ্গলবার এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে।
সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে জন্য ইসির তফসিল ঘোষণার পর, ৫০ জন মনোনীত প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। গত সোমবার সেসব আবেদন যাচাই-বাছাই করে সবগুলো মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য একেকটি রাজনৈতিক দল ছয়টি আসনের বিপরীতে একটি করে আসন পান। এবার স্বতন্ত্রদের সমর্থন পাওয়ায় আওয়ামী লীগ ৪৮টি সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। আর ১১ আসন পেয়ে জাতীয় পার্টি দিয়েছে দুই আসনে মনোনয়ন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের জোটগতভাবে মনোনয়নপত্র পেয়েছি ৪৮টি। একইসঙ্গে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি দুটি। আমাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাছাই হয়েছে এবং তাদের তালিকা অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এতে সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। বৈধতার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।
ইসির এই যুগ্ম সচিব আরো বলেন, মনোনয়নপত্র যারা জমা দিয়েছেন, তাদের রবিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত তা প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল। যেহেতু আজকে কোনো প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি, সেহেতু আমাদের নির্বাচনী যে আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীদেরকে নির্বাচিত ঘোষণা করার বিধান রয়েছে। আমরা আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে পারব।
এই কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশের পর তা কমিশন গেজেট প্রকাশের জন্য বিজি প্রেসে পাঠাবেন। পরবর্তীতে গ্যাজেটের কপি সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হবে। সে অনুযায়ী সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।
আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হলেন যারা
রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়), দ্রৌপদি বেবি আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও), আসিকা সুলতানা (নীলফামারী), ডা. রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট), কোহেলি কুদ্দুস (নাটোর), জারা জেবিন মাহমুদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ), রুনু রেজা (খুলনা), ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট), মোসামৎ ফারজানা সুমি (বরগুনা), খালেদা বানু (ভোলা), নাজনীন নাহার রশীদ (পটুয়াখালী), ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী), উম্মে ফারজানা সাত্তার (ময়মনসিংহ), নাদিয়া বিনতে আমিন (নেত্রকোণা), মাহফুজা সুলতানা (জয়পুরহাট), পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ), অ্যারোমা দত্ত (কুমিল্লা), লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা), মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা), বেধুরা আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ), শবনম জাহান (ঢাকা), পারুল আক্তার (ঢাকা), সাবেরা বেগম (ঢাকা), শাম্মী আহমেদ (বরিশাল), নাহিদ ইজহার খান (ঢাকা), ঝরনা হাসান (ফরিদপুর), ফজিলাতুন্নেছা (মুন্সীগঞ্জ), সাহিদা তারেক দিপ্তী (ঢাকা), অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা), শেখ আনারকলি (ঢাকা), মাসুদা সিদ্দিক (নরসিংদী), তারানা হালিম (টাঙ্গাইল), বেগম শামসুন্নাহার (টাঙ্গাইল), মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর), অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল), হাসিনা বারি চৌধুরী (ঢাকা), নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ), ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষ্মীপুর), কানন আরা বেগম (নোয়াখালী), শামীমা বারী (চট্টগ্রাম), ফারিয়া খানম (নোয়াখালী), দিলারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম), ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম), ডরোথি তঞ্চঙ্গ্যা (রাঙামাটি), সানজিদা খানম (ঢাকা) ও নাছিমা জামান ববি (রংপুর)।
আর জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত হলেন- পার্টির কো–চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম ও ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন নাহার।