বিডি ঢাকা ডেস্ক
রাজশাহীর বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য গান পাউডার ও অস্ত্রশস্ত্র আটকের ঘটনা বাড়ছে বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাজনৈতিক দল, বখাটে কিশোরসহ নানা দুষ্কৃতিকারী চক্র এই বিস্ফোরক ও অস্ত্র আনছে বলে শঙ্কা করছেন তারা।
আর অপরাধ বিজ্ঞানীদের মতে, সীমান্তে নিরাপত্তার ঘাটতির কারণে এইসব নিষিদ্ধ পণ্য ঢুকছে দেশে, আটক হয় সামান্যই।
আমদানি নিষিদ্ধ হওয়ায় দেশে এক কেজি গান পাউডারও আমদানির সুযোগ নেই। অথচ গত তিন বছরে রাজশাহী সীমান্তে আটক হয় মোট ৫৮৩ কেজি গান পাউডার এবং ৪৭৭টি অস্ত্র। এর মধ্যে ২০২৩ সালে আটক হয় পাঁচ কেজি গান পাউডার, ৭৭টি অস্ত্র। এর আগে, ২০২২ সালে ১২ দশমিক তিন কেজি গান পাউডার, ৩০৯টি অস্ত্র। আর ২০২৪ সালের ১০ মাসে আটক হয়ে ৫৬৬ কেজি গান পাউডার, ৯১টি অস্ত্র।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এই বিস্ফোরক দ্রব্যের মূল ক্রেতা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বখাটে কিশোর দলসহ নানা দুষ্কৃতিকারী চক্র। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ার কাজে গান পাউডার ব্যবহৃত হয় বলে শঙ্কা করছে র্যাব ও পুলিশ।
রাজশাহী র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফিরোজ কবীর বলেন, ‘রাজশাহীর বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য গান পাউডার ও অস্ত্রশস্ত্র আটকের ঘটনা বাড়ছে। গত দুই মাসে আমরা চার কেজি করে কাশিয়ানা ও দামপুরা থেকে গান পাউডার উদ্ধার করেছি। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ার কাজে গান পাউডার ব্যবহৃত হতে পারে।’
অপরাধবিজ্ঞানীরা জানান, সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মদদ ছাড়া অস্ত্র ও বিস্ফোরক ঢোকার সুযোগ নেই।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুন্সী ইসরাইল হোসেন বলেন, এদেশে মানুষকে আনরেস্ট করা জন্য গান পাউডার নিয়ে আসা হয়। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও মদদ রয়েছে।
আটকের পরিসংখ্যান পাওয়া গেলেও গত তিন বছরে কী পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক রাজশাহীর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে দেশে ঢুকেছে তার হিসেব নেই কারো কাছে।