মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ অপরাহ্ন

“পুলিশি হস্তক্ষেপে ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীতে বাস চলাচল শুরু”

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

পুলিশের হস্তক্ষেপে পাঁচ ঘন্টা পর রাজশাহী থেকে সব গন্তব্যের বাস চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে বাস চলাচল শুরু হয়। সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডে বাস শ্রমিকদের হামলার পর উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সকাল ১০টার দিকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া মালিক-শ্রমিকরা। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও তানোর রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

আগের দিন সোমবার রাজশাহীর তানোরে ছয়জন বাস শ্রমিককে মারধরের জেরে দুপুর থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে হামলাকারিদের গ্রেপ্তারের পুলিশের আশ্বাসে রাত ৮টা থেকে বাস চলাচল শুরু হলেও মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তা আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিক আলী পাখি বলেন, ‘ডিসি স্যার আমাদের নিয়ে বসেছিলেন। তিনি বলেছেন যে, আমাদের যেসব শ্রমিক হাসপাতালে ভর্তি আছে তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি আমরা একটা মামলা করেছি, ওই মামলা মামলার গতিতে চলবে। সে জন্য আমাদের শ্রমিকেরা বাস চালানো শুরু করেছেন।’

সোমবার তানোরে সিএনজি অটোরিকশার চালকেরা বাসের পাঁচজন চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টরকে মারধর করেন। তারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এই ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে বাস শ্রমিকেরা নগরের রেলগেটে সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডে হামলা করেন। এ সময় কমপক্ষে ৭০টি সিএনজি অটোরিকশার কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়।

এছাড়া হামলায় চালক-যাত্রীসহ অন্তত ১২ জন আহত হন। তবে সিএনজি চালকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে আহত হয়েছেন প্রায় ৪০ জন। এই ঘটনার পর রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) নূর আলম সিদ্দিকী বাস মালিক ও শ্রমিক নেতা এবং সিএনজি মালিক সমিতির সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠক করে।

রাজশাহী সিএনজি মালিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ৭০/৮০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পিটিয়ে আহত করা হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জনকে। এদের বেশিরভাগই চালক, কয়েকজন যাত্রীও আছেন।

তিনি বলেন, পুলিশের কাছে আমরা দাবি করেছি, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার, গাড়ির ক্ষতিপুরণ, আহতদের চিকিৎসার খরচ প্রদান এবং রাস্তায় বাস মালিকদের চেকপোষ্ট প্রত্যাহার করতে হবে। সিএনজি গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় রাতে বোয়ালিয়া থানায় মামলা করা হবে। এর পর কবে থেকে সিএনজি চলাচল করতে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া

নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘আমরা ভাঙচুর করা ৩২টি সিএনজি দেখেছি। ভাঙচুর করা গাড়ির সংখ্যা ৭০টি হতে পারে। অন্য গাড়িগুলো চলে গেছে। সব গাড়িরই শুধু কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এরপর কিছু গাড়ি উল্টে ফেলা হয়। এ ঘটনায় এখনো থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ দিলে জড়িতদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com