রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন

হবিগঞ্জে খোয়াই বাঁধ মেরামতে গড়িমসি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৮ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

বন্যা থেকে হবিগঞ্জ শহর রক্ষার জন্য কেটে দেওয়া খোয়াই নদীর বাঁধ চার মাসেও মেরামত হয়নি। ভাঙন দুইদিকে বিস্তৃত হয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। আর সামনের বোরো মৌসুমে ফসল তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁধের ভাঙন প্রায় ২০০ ফুট প্রশস্ত হয়েছে। দুদিক থেকে লোকজন ডিঙি নৌকা ও টিনের নৌকায় রশি টেনে পারাপার হচ্ছেন। জায়গাটি পার হতে সময় ব্যয় হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ মিনিট।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত আগস্টের বন্যায় খোয়াই নদীতে পানি বেড়ে হবিগঞ্জ শহর তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। তখন জালালাবাদের দিকে নদীর বাঁধ প্রায় ২০ ফুট জায়গা কেটে দেওয়া হয় নদীতে পানির চাপ কমানোর জন্য। বাঁধ ভেঙে দেওয়ার পরদিনই হবিগঞ্জ শহর অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত হয়। কিন্তু বন্যা মোকাবিলার চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও বাঁধের ভাঙা স্থানটি মেরামত করা হয়নি।

বাঁধে নির্মিত পাকা সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়ক দিয়ে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লোকড়া ও রিচি এবং লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের মানুষ চলাচল করে। পাশের জেলা কিশোরগঞ্জেরও কিছু লোকের এদিকে আসা-যাওয়া আছে। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর, চানপুর, গোপালপুর, মথুরানগর, জয়নগর, ইসলামপুর ও যাদবপুরসহ অনেক গ্রামের লোকদের শহরে আসার একমাত্র রাস্তা এটি। কিন্তু বর্তমানে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে ভাঙন পর্যন্ত গিয়ে বাকি পথ হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন।

ভাঙা স্থানটি মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে কয়েকজন জানান। এ নিয়ে গ্রামবাসীর কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে।

রিচি গ্রামের জিতু মিয়া বলেন, ‘বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামত করার আগে হাওড়ে বোরো চাষ করা উচিত হবে না। কারণ নদীর সঙ্গে হাওড়ের সরাসরি যোগাযোগ থাকায় বর্ষার শুরুতেই পুরো হাওড় প্লাবিত হয়ে পড়বে। এতে হাজারো কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাবিবুর রেজা বলেন, ‘বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামত করার জন্য নকশা প্রণয়ন হচ্ছে। দরপত্র আহ্বান করে আগামী এক মাসের মধ্যেই মেরামত কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি। তিনি আরও দাবি করেন বন্যা থেকে বাঁচতে শহর রক্ষার জন্য বাঁধ কেটে দেওয়া হয়নি। প্রাকৃতিকভাবেই স্থানটি ভেঙে গিয়েছিল।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com