আপনার শরীরের ক্লান্তি দ্রুত দূর করতে খেজুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মুহূর্তে দুর্বলতা দূর করতে এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না।
রোজ সকালে নিয়ম করে দুই থেকে তিনটি খেজুর খেলে দ্রুতই ক্লান্তি দূর হবে। এ ছাড়া রক্তস্বল্পতায় ভোগা রোগীদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন, তার প্রায় ১১ ভাগ পূরণ করে খেজুর।
আপনার শরীর ক্লান্ত লাগছে। হুট করে ক্লান্ত অনুভব করছেন। দুই থেকে তিনটি খেজুর খেয়ে নিন। আপনার তাৎক্ষণিক শক্তির জোগান দেবে এ ফল। এ ছাড়া দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় প্রাকৃতিক মিষ্টি খেজুর রাখলে দূরে থাকা যায় নানা ধরনের রোগবালাই থেকে। আর খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে। সে কারণে এ ফল অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনে ৩ থেকে ৬টি খেজুর খাওয়া যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন খেজুর।
আপনি জেনে অবাক হবেন— খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। ফাইবার প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে, হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত খেজুর খেলে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায়। কারণ এটি হজমশক্তি ও সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদন বাড়ায়। খেজুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। এতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়াম আছে।
এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রাকৃতিক শর্করা যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ পাওয়া যায় খেজুরে। এগুলো দ্রুত আমাদের শরীরে শক্তি জোগায়। ব্যায়ামের ঠিক আগে খেজুর খেতে পারেন। বাড়বে কর্মক্ষমতা।
আর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে খেজুর। জার্নাল অব অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে— খেজুরের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এলডিএল কোলেস্টেরলের অক্সিডেশন রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম পাওয়া যায়, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ও স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে। এ ছাড়া পটাসিয়ামসমৃদ্ধ খেজুর স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ও শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস হাড়ের ক্ষয়রোধ এবং অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
যেসব পুষ্টিগুণ মিলবে খেজুরে
যেসব পুষ্টিগুণ মিলবে খেজুরে, তার মধ্যে রয়েছে— ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ফসফরাস, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও তেল। আপনি ১০০ গ্রাম খেজুরে পাবেন ২৭৭ ক্যালোরি, ৭৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৬৬ গ্রাম শর্করা (গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ), ৭ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার, ২ গ্রাম প্রোটিন, প্রায় ০.৫ গ্রাম ফ্যাট, ৬৯৬ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম এবং ৫৪ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম। এ ছাড়া আয়রনেরও দারুণ উৎস রয়েছে খেজুরে।