বিডি ঢাকা ডেস্ক
যমুনা নদীর উপর নির্মিত পৃথক রেল সেতু দিয়ে ঈদে উত্তরাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ কোন ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন। এর আগে সেতু পারাপারের জন্য সময়ক্ষেপন ও সায়দাবাদ এবং ইব্রাহিমপুর রেলওয়ে ষ্টেশনে ট্রেন চেকিং নামে যে ভোগান্তি ছিল এখন আর তা নেই। নতুন রেল সেতু পারাপারে সময় লাগছে সাড়ে তিন থেকে চার মিনিট। সব মিলিয়ে গন্তব্যে পৌছানোর সময় প্রায় দুই ঘন্টা কমেছে।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ২৪ ঘন্টায় রেল সেতু দিয়ে ১৫ জোড়া আন্তঃনগর, ২ জোড়া মেইল ট্রেন এবং ঈদের বিশেষ কমিউটার এক জোড়া ট্রেন চলাচল করছে ।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মেগা প্রকল্প ১৬ হাজার সাতশ ৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যমুনা নদীর উপর চার দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই সেতু নির্মাণের পাশাপাশি আধুনিকায়ন করা হয়েছে সেতুর উভয় প্রান্তের রেলওয়ে ষ্টেশনও। টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর প্রান্তের ইব্রাহিমাবাদ এবং সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ রেলওয়ে ষ্টেশনের অবয়বে আমুল পরিবর্তন করে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এই দুই ষ্টেশনে এখন আর ট্রেন চেকিং করার নামে যাত্রীদের যে বিড়ম্বনা ছিলো এখন আর তা নেই। বেশীর ভাগ ট্রেনের কোন যাত্রা বিরতি নেই। টিকেটও বিক্রি হয় না।
রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা হাসিনা খাতুন জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন যমুনায় নির্মিত পৃথক রেল সেতু দিয়ে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ২৪ ঘন্টায় ১৫ জোড়া আন্তঃনগর,২ জোড়া মেইল ট্রেন চলাচল করছে। এছাড়াও ঈদের বিশেষ কমিউটার ট্রেন পোশাক শ্রমিকসহ সাধারণ যাত্রীদের নিয়ে গাজীপুর থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত এক জোড়া কমিউটার ট্রেন চলাচল করছে।