বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দলিল লেখক রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি আয়নাল, সম্পাদক সানাউল পদ্মার পানি বিপৎসীমার সন্নিকটে, চরাঞ্চলের পর এবার পদ্মা পাড়ের বসতী প্লাবিত তানোরে বস্তায় আদা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সমুদ্রসম্পদ বড় অবদান রাখতে পারে: মৎস্য উপদেষ্টা র‌্যাবের অভিযানে ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে হেরোইন উদ্ধার গ্রেপ্তার ১ তিন নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত : ৬০০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত প্রযুক্তির ভালো দিক কাজে লাগানোর আহ্বান সদর উপজেলায় ১৫ পরিবারে ঢেউটিন ও টাকা বিতরণ বন্দর উন্নয়নে পরিকল্পিতভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে : সোনামসজিদ স্থলবন্দরে নৌপরিবহন উপদেষ্টা জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন টাস্কফোর্স ও অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সচিবের

পদ্মার পানি বিপৎসীমার সন্নিকটে, চরাঞ্চলের পর এবার পদ্মা পাড়ের বসতী প্লাবিত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫
  • ২ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

 

রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার খুব কাছাকাছি চলে আসায় তীরবর্তী এবং চরাঞ্চলের মানুষের জীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে এবং জেগে ওঠা চরগুলো তলিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে, চরবাসীরা তাদের গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলে যাচ্ছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৩৯ মিটার, যা বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ০৫ মিটারের চেয়ে মাত্র ০.৬৬ মিটার নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা বেড়েছে ০.১৭ মিটার। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পদ্মা পাড়ের বসতীর বাড়িঘর ডুবেগেছে।লোন গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র নিয়ে নদীর পাড় বাঁধা ব্লকের উপর আশ্রয় নিচ্ছেন। তবে যেকোনো মুহূর্তে বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নিরাপত্তার স্বার্থে টি-বাঁধ এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ করেছে এবং তীরবর্তী ব্যবসায়ীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছে।

জানতে চাইলে রাজশাহী শহর রক্ষা শাখা উপ-সহকারী প্রকৌশলী, মোঃ আবু হুরায়রা বলেন, ২৪ জুলাই থেকে পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করে। মাঝে একবার কিছুটা কমলেও ৩১ জুলাই থেকে আবার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।

পদ্মার পানি বাড়ার ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। মিডিলচর চর খিদিরপুর খানপুরসহ অনেক চর পানিতে তলিয়ে গেছে। সেখানকার বাসিন্দারা নৌকাযোগে তাদের মালপত্র ও গবাদিপশু নিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বা ভাড়া বাসায় উঠছেন।

গবাদিপশু নিয়ে চরবাসী সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। অনেক পশু এখনও চরে আটকা পড়ে আছে এবং গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে এবং সম্ভাব্য বন্যার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে, চরাঞ্চলের মানুষের জন্য টেকসই পুনর্বাসন এবং গবাদিপশুর জন্য নিরাপদ আশ্রয় ও খাদ্যের সংস্থান একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com