ফাহিম ফরহাদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজশাহী থেকে, ২৩জানুয়ারি ২০২১খ্রি. শনিবার সকাল থেকে নেসকো’র লোগোযুক্ত পোষাক গায়ে পরিহিত একদল লোক নেসকো রাজশাহী’র কর্মী পরিচয়ে, নগরীর কুমারপাড়া ও ফুতকি পাড়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরাতন এনালগ মিটার খুলে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে দিচ্ছিলেন। এলাকাবাসীর দাবি এই কর্মসূচি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিক বা এলাকায় আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি। খবর পেয়ে ছুটে আসেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। তিনি ওই কর্মীদের নতুন লাগানো প্রিপেইড মিটার খুলে পুনরায় এনালগ মিটার চালু করতে নির্দেশ দেন। ডাবলু সরকার সংশ্লিষ্ট কর্মীদের রাজশাহীতে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার নিয়ে নতুন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির আশঙ্কায় তা স্থাপন করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। এসময় ওই কর্মীরা প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের নানা যুক্তি তুলে ধরতে চাইলে ডাবলু সরকার সহ এলাকাবাসীর প্রতিবাদে তোপ’র মুখে পরলে, তৎখনাৎ ঐ কর্মীরা পুনরায় পুরাতন এনালগ মিটার লাগিয়ে দিতে বাধ্য হন। পরে ডাবলু সরকার জানান, প্রি-পেইড মিটার টাকা দেয়ার পর তা শেষ হলে কী ঘটবে, বাড়িতে অনুষ্ঠানের সময় অতিরিক্ত ইলেকট্রিক সামগ্রী চালালে কী ঘটবে! ভোক্তা হিসেবে সবার এসব বিষয় জানার অধিকার আছে। যেমন আমরা শুনতে পারছি, বাড়িতে নতুন কোনো ইলেকট্রিক সামগ্রী চালু করলে বা অনুষ্ঠান করলে আগে বিদ্যুৎ অফিসের কর্তৃপক্ষ্যকে অনুমতি নিতে হবে জনগণের পক্ষ্য থেকে, জনপ্রতিনিধিগণ হতে। প্রি-পেইড মিটারে টাকা শেষ হয়ে গেলে বাড়ির বিদ্যুত বন্ধ হয়ে যাবে! এমন অনেক বিষয় নিয়ে সন্দেহ রয়েছে জনমনে। যা জনমনে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি করছে। ঢাকা সহ দেশের কয়েকটি জেলার জনগণের প্রতিবাদের মুখে নেসকো এই প্রি-পেইড মিটার চালু করতে পারেনি। এখন তারা সেই মিটার রাজশাহীর মানুষের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। ডাবলু সরকার আরো বলেন, আমরা চাইছি আগে নেসকো স্থানীয় জনগণের সাথে আলোচনা করুক, আমাদেরকে এসব বিষয়গুলো বুঝেয়ে দিক। আমাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিক। তারপর তারা এই কার্যক্রম শুরু করুক। সমাজের মানুষের সাথে না বসে এভাবে তারা প্রিপেইড মিটার আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে পারে না।