চট্টগ্রাম সংবাদদাতা : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। শীতের সকালের শুরুতেও বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে ভোটারদের উপস্থিতি দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার হাসানুজ্জামান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই, ভোটকেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন।
এবার চসিক নির্বাচনের প্রথমবারের মতো পুরো নির্বাচন হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
আগামী পাঁচ বছর চট্টগ্রামের নগরপিতা কে হবেন, তা নির্ধারিত হবে আজ। ভোটের মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
নির্বাচনে মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। মেয়র পদে সাতজন ও কাউন্সিলর পদে ২২৯ জন প্রার্থী আছেন ভোটের মাঠে।
নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ৭৩৫ ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে মঙ্গলবার নির্বাচনসামগ্রীও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের দায়িত্বে আছেন মোট ১৪ হাজার ৩৭০ জন র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্য। ২৫ প্লাটুন বিজিবি সোমবার থেকে টহলও দিচ্ছে নগরীর বিভিন্ন সড়কে।
নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে নির্বাচন হলেও প্রশাসনের টেনশন বেশি ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে। দলীয় সমর্থন না পেয়ে এসব ওয়ার্ডের নয়টিতে বর্তমান কাউন্সিলররাই বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
অপর তিনটি ওয়ার্ডের একটিতে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ভোটার আছে। বর্তমান কাউন্সিলররা দলীয় সমর্থন পেলেও অন্য দুটি আলোচনায় আছে একাধিক বিদ্রোহী নিয়ে। ত্রিমুখী লড়াই হওয়া এই ১২টি ওয়ার্ডের দিকে তাকিয়ে আছে প্রধান দুই দলের মেয়র প্রার্থীরাও। কারণ জয়-পরাজয় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে এই ওয়ার্ডগুলো। এসব ওয়ার্ডে নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যাও বেশি রাখছে নির্বাচন কমিশন।