বাগেরহাট সংবাদদাতা :টানা চতুর্থবারের মতো বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র হলেন আওয়ামী লীগের খান হাবিবুর রহমান। বাগেরহাট পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের ১৫টি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে ১৮ হাজার ৮৯৪ ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাইদ নিয়াজ হোসেন শৈবাল ধানের শীষ প্রতীকে ৩৩৯ ভোট পেয়েছেন।
তবে এজেন্ট বের করে দেওয়া, এজেন্টদের মারধর, বিএনপির ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, একজনের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে অন্যজনকে দিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়াসহ নানা অভিযোগ এনে দুপুর ২টায় ভোট বর্জন করেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাইদ নিয়াজ হোসেন শৈবাল।
খান হাবিবুর রহমান যুবক বয়স থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। তিনি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে সর্বপ্রথম বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন খান হাবিবুর রহমান। এরপরে আরও দুইবার তিনি প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক নির্বাচনে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন।
এছাড়া বাগেরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে মোসা. আসমা আক্তার, ২ নম্বর ওয়ার্ডে তানিয়া খাতুন ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কোহিনূর বেগম নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ ১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে শামীম আহসান, ২ নম্বর ওয়ার্ডে মনিরুজ্জামান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে খান আবু বক্কর, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাজী তৌহিদুর রহমান জনি, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে রেজাউর রহমান মন্টু, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ফারুক তালুকদার নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদিকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল হাশেম শিপন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তালুকদার আব্দুল বাকি এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শাহ নেওয়াজ মোল্লা আগে থেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
১৫ দশমিক ৮৮৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বাগেরহাট পৌরসভায় বাগেরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডের ১৫টি কেন্দ্রে ৩৮ হাজার ২০০ জন ভোটার ছিলেন। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৪২১ জন পুরুষ এবং ১৯ হাজার ৭৭৯ জন নারী রয়েছেন।