শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ অপরাহ্ন

শর্ত সাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর দাবি মালিকদের

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৪০ বার পঠিত

নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে চলছে লকডাউন। তবে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সরকার শর্ত সাপেক্ষে  শপিংমল-বিপণিবিতান খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু এই সময়ের মধ‌্যে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে শর্তসাপেক্ষে হলেও গণপরিবহন চালুর দাবি জানিয়েছেন এই খাতের মালিকরা।

পরিবহণ মালিকরা বলছেন, লকডাউনের মধ্যে সব কিছু খোলা রয়েছে। শুধু গণপরিবহন বন্ধ। এর ফলে করোনার সংক্রমণ কতটা রোধ করা সম্ভব হবে, তা নিয়েও তারা প্রশ্ন  তুলেছেন। তারা বলছেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সবাই তো বাইরে বের হচ্ছেন। কেনাকাটা করছেন। সংক্রমণও দিন দিন বেড়েই চলছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর অনুমতি চান তারা।

সোবহান তালুকদার বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে দোকানপাট, শপিংমল খোলা। শুধু গণপরিবহণ বন্ধ। বিষয়টা কেমন হলো বলুন? গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না, বিষয় তো তা না।  সবাই বের হচ্ছে। কেনাকাটাও করছে। এছাড়া গণপরিবহন চললে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চালাই। এতদিনও চালিয়েছি। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চালিয়েছি। তাতে করোনার ঝুঁকি মোটামুটি কমই ছিল।’

ট্রান্স সিল্ভা পরিবহনের ম্যানেজার মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন বলেন, ‘গণপরিবহন বন্ধ রেখে দোকানপাট খোলার কোনো মানে খুঁজে পাচ্ছি না। সামনে ঈদ আমাদের পরিবার আছে। গতবছর ঈদের সময় খুব কষ্টে দিন কাটাতে হয়েছে পরিবহন শ্রমিকদের। এবারও তার পুনরাবৃত্তি হোক, সেটা চাই না। সরকারের কাছে আবেদন, গণপরিবহন খুলে  দেওয়া হোক। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাস চালাবো।’

একই দাবি জানালেন সেন্টমার্টিন পরিবহনের মালিক ও কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবিরও। তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ যানবাহন কেনা হয় বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণে। ফলে বাসগুলোর বিপরীতে ঋণের বোঝা পরিবহন মালিকদের কাছে করোনার ভয়ের চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে। অনেক পরিবহন মালিক দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় গণপরিবহন চালু করা  জরুরি।’

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘প্রতিদিন লাখ লাখ যাত্রী গণপরিবহনে সড়ক পথে যাতায়াত করে। করোনা সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনে মালিক-শ্রমিক-কর্মচারীরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।’

এনায়েত উল‌্যাহ আরও বলেন, ‘লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু ব্যয় কমেনি। কাউন্টার ভাড়া, গ্যারেজ ভাড়া, স্টাফ বেতন, পার্কিং চার্জ, গাড়ি পাহারা ও পার্টস  মিলিয়ে দৈনিক প্রত‌্যেক কোম্পানি বড় অঙ্কের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। গত বছর ৯০ দিনের লকডাউনে সড়ক পরিবহন সেক্টরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ওই ক্ষতি পরিবহন মালিকরা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি।’

মালিক সমিতির মহাসচিব  আরও বলেন, ‘আমরা সরকারের ওপর মহলের সঙ্গে  আলোচনা করছি। আমরা চাই দোকানপাট-শপিংমল যেভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে, সেভাবে গণপরিবহনও চালু করা হোক।’ পরিবহন মালিকরা সরকারের শর্ত মেনেই পরিবহন চালাতে চান বলেও তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com