সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে সব পক্ষেরই সচেতনতা দরকার : আলোচনা সভায় অভিমত ক্ষতিপূরণ দাবি বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ ৫৯৫ টাকা কেজি দরে দিনে ১ কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন খলিল ঢাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পল্লী বিদ্যুতের ৭ জন বরখাস্ত ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের কর্মসূচি স্থগিত ন্যাশনাল মেডিকেল, সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজে হামলা- ভাঙচুর, পরীক্ষা স্থগিত বরাদ্দের মধ্যেই দিবস পালন করতে হবে : জেলা প্রশাসক চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় আবদুল ওয়াহেদ নেতৃত্বাধীন প্যানেলের

বগুড়া সহ সারাদেশে আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২৫ টাকা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২ জুন, ২০২১
  • ৩৬৪ বার পঠিত

বগুড়া সংবাদদাতা : বাজারে পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। গত ১৫ দিনে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা। আমদানি না হলে ৭ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলা বাজার মনিটরিং সূত্রে জানা যায়, বগুড়া তথা সারাদেশে পেঁয়াজের দাম বাড়ার মূল কারণ আমদানি না হওয়া।  আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয় পাবনা জেলার সদর, সুজানগর, বেড়া, কাশিনাথপুর উপজেলায়।

এ ছাড়া নাটোর, কুষ্টিয়া ও রাজশাহী জেলায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। তবে এতে দেশের মোট চাহিদা পূরণ হয় না। দেশের পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। এ ছাড়া মায়ানমার, চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। তবে দেশে আমদানি হওয়া পেঁয়াজের প্রায় ৯৫ শতাংশ ভারত থেকে আনা হয়। গত ৩০ এপ্রিলের পর দেশে আর পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হয়নি।

মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বগুড়া শহরের রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, কলোনি বাজার, খান্দার বাজার, বনানী বাজার, কালিতলা হাট, মাটিডালী বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে।

বগুড়ার সবচেয়ে বড় পাইকারি আড়ৎ রাজাবাজার। রাজাবাজারের আড়তদার ও পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, ১৫ দিন আগেও পাইকারি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ছিল ২৩ থেকে ২৭ টাকা। যা ১৫ দিনের ব্যবধানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে। যা খুচরা বাজারে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।

তারা আরও জানান, আড়তে পেঁয়াজ আসার পর তিন স্তর পর ভোক্তাদের হাতে পৌঁছায়। মঙ্গলবার আড়ৎ থেকে পাইকাররা কিনেছেন প্রতি কেজি ৫০-৫২ টাকা দরে, পাইকাররা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন ৫৫-৫৬ টাকা দরে এবং খুচরা ব্যাবসায়ীরা ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করেছেন ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে।

বাজারে কথা হয় বেশ কয়েকজন সাধারণ ক্রেতার সঙ্গে। তারা প্রত্যকে ৫ থেকে ১০ কেজি করে পেঁয়াজ কিনেছেন। এত পেঁয়াজ কেনার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজ কিনেছি ৫০ টাকা কেজি করে। আজ পেঁয়াজ কিনতে হলো ৬৫ টাকা কেজি করে। দোকানদার বলছেন, আগামী সপ্তাহে ১০০ টাকা কেজি দাম হতে পারে। তাই এক মাসের জন্য বেশি করে পেঁয়াজ কিনেছি।বগুড়ার রাজাবাজার ও ফতেহ আলী বাজারে খুচরা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫ টাকা দরে, কলোনি বাজার, খান্দার বাজার, বনানী বাজার, কালিতলা হাট, মাটিডালী বাজারের ওই একই দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে।

পাইকারি দামের থেকে খুচরা দাম ১০-১৫ টাকা কেজি প্রতি বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে রাজাবাজারের খুচরা কাঁচামাল ব্যবসায়ী রফিকুল, বিপ্লব, ফতেহ আলী বাজারের শামীম, আব্দুর রহমান, শিপন বলেন, পাইকারি পেঁয়াজ কেনার পর তা বাছাই করতে হয়। পাইকারি পেঁয়াজ কাটা (৫০ কেজি) দরে কিনতে হয়। যার ফলে প্রতি কেজিতে প্রায় ১৫০ গ্রামের মতো ঘাটতি হয়। তাই দামের পার্থক্য হয়। তবে দাম বাড়ছে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে সাধারণ মানুষকে আগামী ১৫ দিন পর প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকা বা তার বেশি দিয়ে কেনা লাগবে।বগুড়া রাজাবাজারের আড়তদার ও ব্যবসায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ জানান, পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে যাচ্ছে। পাবনা, কুষ্টিয়া, নাটোরের পেঁয়াজ দিয়ে বগুড়ায় চাহিদা মেটানো সম্ভব না। আমদানি বন্ধ হওয়ায় গত ১৫ দিনে ধাপে ধাপে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১৫/২০ দিন পর খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ১০০ বা তার বেশি হতে পারে।

তবে বাজার স্থিতিশীল করতে হলে পেঁয়াজ আমদানি দ্রুত শুরু করা দরকার। গত ৩০ এপ্রিলের পর আর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হয়নি। আমদানি না হলে সাধারণ মানুষ পেঁয়াজ কিনতে বিপাকে পড়বেন বলেও মনে করেন তিনি।

বগুড়া জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, দেশে যে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় তা দিয়ে দেশের মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না। এ কারণে পেঁয়াজ আমদানিম করতেহয। আমদানি করা ১০০ শতাংশের প্রায় ৯৫ শতাংশ পেঁয়াজ ভারত থেকে করা হয়। ভারত থেকে সর্বশেষ দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ৩০ এপ্রিল পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে পরবর্তীতে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। আর এই কারণে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি পুনরায় শুরু হলে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলেও মনে করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com