বিডিঢাকা ডটকম : আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শেষ প্রান্তের চারিদিকে ভারত। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর সোনামসজিদ স্থল বন্দর এ জেলার ভেতর দিয়েই সড়ক চলে গেছে। জেলা থেকে শিক্ষা নগরী রাজশাহী হয়ে বিভিন্ন মালবাহী পণ্য নিয়ে যানবাহন চলাচল করে ২৪ ঘন্টা। আর এইসব সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাংলাদেশের নওজোয়ান বিজিবি নিয়ন্ত্রণ করে। শতাধিক স্পটে ৫৯ বিজিবি সদস্যরা রাতদিন টহল দিয়ে চোরাকারবারিদের রুখে দেয়। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে ভারতীয় চোরাকারবারীরা যাতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে সেই লক্ষে সীমান্তে টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ৫৯ বিজিবির নিয়মিত টহলে আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ এবং শিয়ালমারা সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ চোরাকারবারিদের আটক করেছে। গত ৭ জুন বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব অভিযান চালায় সোনামসজিদ বিওপি ও শিয়ালমারা বিওপির সদস্যরা। সীমান্ত পিলার ১৮৫/১-আর ও সীমান্ত মেইন পিলার ১৮৭/১১-এস হতে আনুমানিক ১ কি. মি. বাংলাদেশের জমিতে চোরাকারবারিরা সক্রিয়। সেখানেই আঘাত হেনে বিজিবি সফলতা পেয়েছে। ৫৯ বিজিবির রহনপুর ব্যাটালিয়ন’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. আমীর হোসেন মোল্লা পিএসসি এসব অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়াও ৫৯ বিজিবির জওয়ানরা সদা সর্বদা দেশ রক্ষায় জীবন দিতে প্রস্তুত আছেন বলেও জানান অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. আমীর হোসেন মোল্লা পিএসসি। আটককৃত আসামিরা হচ্ছে, কানসাট মিলিক এলাকারসেতাউর রহমানের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪২)। অভিযান গুলোতে বেশকিছু চোরাকারবারি পালিয়ে যায় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে। পরে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পলাতক আসামিরা হচ্ছে, শিয়ালমারা গ্রামের মৃত সাহেদ আলীর ছেলে মিন্ঠু আলী (৩৫), শরিফুল ইসলাম (৩৫), শহিদুল ইসলাম (৩০), মাইদুল ইসলাম (৪০), সোবহান মিয়া (৪০), তহুরুল ইসলাম (৩০)। পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আমীর হোসেন মোল্লা পিএসসি এবং সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বিজিবি এমএস’র নেতৃত্বে ২টি টহল দল এবং সোনামসজিদ বিওপির হাবিলদার মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে টহল দল পিরোজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ও বসতবাড়িতে অভিযানগুলো চালায়। এ সময় শিয়ালমারা গ্রামের মোড়লপাড়ায় একটি পুকুরের মধ্যে প্লাস্টিকের ব্যাগে ১ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ টাকার ৩৬৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। আরেকস্থানে ২ লাখ ৩৭ হাজার টাকার ৫৬৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়। অন্য আরেকটি স্পটে ৬০ হাজার টাকার ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। পরে আরেকস্থানে ২০ হাজার টাকার ৫০ বোতল ও ১২ হাজার ৪০০ টাকার ৬ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে বিজিবি।